ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জয়ার প্রতি অসন্তুষ্ট পরিচালক

প্রকাশিত: ২১:২০, ৩০ মে ২০২৫

জয়ার প্রতি অসন্তুষ্ট পরিচালক

নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনয়ের পাশাপাশি প্রাণী সুরক্ষা নিয়ে সব সময় সরব থাকেন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়ার মন্তব্যকে ভালো চোখে দেখেননি ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার নির্মাতা ও একসময়ের অভিনেত্রী রাশেদা আক্তার লাজুক। চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা আব্দুন নূর সজলকে নিয়ে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শূটিং করছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার গারো পাহাড়ের বিভিন্ন লোকেশনে। কিন্তু শূটিংয়ের সময় সেখানে বন্যহাতির আগমন ঘটে, ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বুবলী-সজলসহ সিনেমার কলাকুশলীরা। অভিনেতা সজল জানিয়েছিলেন, গত ৯ দিন ধরে শূটিং করছেন তারা। আর প্রায়ই বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হন। গত বুধবার তাদের শূটিং সেটে আচমকা ৮-৯টি বন্যহাতির দল চলে আসে, এতে কলাকুশলীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, পরে সেই হাতিগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বলা বাহুল্য, এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। একদল তারকা-কলাকুশলীদের সুরক্ষা নিয়ে যেমন উদ্বেগের মাঝে পড়েছিলেন, আরেকদল প্রাণীদের অভয়ারণ্যে মানুষের অযথা উপস্থিতি কিংবা সিনেমার শূটিং চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। শুধু তাই নয়, বনবিভাগের দায়বদ্ধতা নিয়েও কথা উঠিয়েছেন অনেকে।
তবে বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সামাজিক মাধ্যমে। সজল-বুবলীর এই সিনেমার শূটিং বন্ধে বন বিভাগের প্রতি আহ্বানও জানান জয়া। কিন্তু জয়ার এই প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে নেননি পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক। জয়ার কথার পাল্টা জবাব দিয়ে লাজুক জানান, জয়ার এমন মন্তব্য আশা করেননি তিনি, এমনকি তার এই পোস্টটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে লাজুক বলেছেন, জয়া আহসান ফোন করে আমাদের একটা খবর নিতে পারতেন, কেননা শূটিংয়ে হাতির আক্রমণ হয়েছে। এখানে বুবলী আছেন, আব্দুন নূর সজল আছেন। সজলের সঙ্গে তার অনেক কাজ হয়েছে। ওই জায়গা থেকেও খোঁজ নিতে পারতেন আমরা ঠিক আছি কি না। তা না করে উল্টো আমাদের শূটিং বন্ধের আহ্বান জানালেন। ওনার কাছে এ রকম আচরণ আশা করিনি, এটা দুঃখজনক। কেননা শুরু থেকেই ছবিটি আটকে দিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে একটি সজল-বুবলীদের শূটিংয়ে হাতির আক্রমণের খবরের কার্ড শেয়ার করে জয়া লেখেন, এই আরেক উপদ্রব বনের ভেতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন শুরু করা যায় ? মাইকের শব্দ, শূটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা এগুলো কি এলাউ করা ঠিক হবে এ রকম একটা সেনসিটিভ জায়গায় ?
জয়ার এই প্রশ্নের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, বনের পরিবেশে শূটিং ইউনিটের নানা আয়োজন পশু-পাখিদের আতঙ্কিত করে তোলে।

সংস্কৃতি ডেস্ক

×