
ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা এখন বিলুপ্তির পথে। অশ্লীলতার ছত্রছায়ায় যাত্রার এই ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে কিছু দুষ্টলোক। পেশাদারী যাত্রা শিল্পীদের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই যাত্রাকে নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন নির্মাতা আসিফ ইসলাম। ‘ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস’ নামের এই ছবিতে প্রিন্সেসের ভূমিকায় অভিনয় করছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। আসিফ ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রা কীভাবে বিলীন হয়ে গেছে, কীভাবে টিকে থাকার লড়াই করছে সেই বিষয়গুলোকে বড় পর্দায় ধরে রাখতে চেয়েছি। সিনেমায় যাত্রার প্রিন্সেসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। আসিফ ইসলাম জানান, শৈশব থেকেই যাত্রার সঙ্গে পরিচয় তার। একসময় নিয়মিত যাত্রা দেখতেন। সেই থেকেই যাত্রামঞ্চ তাকে আলোড়িত করেছে। অপেক্ষায় ছিলেন এ নিয়ে গল্প বলবেন একদিন। ভাবনার চরিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ভাবনার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। যাত্রার প্রিন্সেস হয়ে ওঠা তার জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, এটি এমন একটি চরিত্র, যেখানে তাকে অভিনয় করতে হয়েছে, নাচতেও হয়েছে। দুটোই সে ভালো জানে। তবে যাত্রাশিল্পীদের মতো নাচ তাকে শিখতে হয়েছে। সর্বশেষ যাত্রা উপভোগের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আসিফ বলেন, দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে যাত্রাপালা দেখার সুযোগ হয়। পালাটি ছিল ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। প্রায় ৩৫ বছর আগে এই যাত্রা দেখেছিলাম। আবার যেন সেই দিনগুলোতে ফিরে গেলাম। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, যাত্রার চিত্র বদলে গেছে। দর্শক আসলে যাত্রা দেখতে আসেনি, দর্শক দেখতে চায় অ্যাডাল্ট নাচ। তারা দেখতে এসেছে শহর থেকে আসা প্রিন্সেসকে। সেদিনই প্রথম আমি ওই নৃত্যশিল্পীকে মঞ্চে দেখি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুরে যাত্রার সেট বানিয়ে ‘ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস’ সিনেমার শূটিং করা হয়। ভাবনা ছাড়া সিনেমায় অভিনয় করেছেন পেশাদার যাত্রাশিল্পীরা। অন্য পেশার পাশাপাশি বহুকাল ধরে ওই দলটি যাত্রাপালা করে আসছে। শূটিংপরবর্তী সম্পাদনা শেষে বিভিন্ন উৎসব ঘুরে দেশে মুক্তি পেতে পারে ‘ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস’।
প্যানেল