ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চলছে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার শূটিং

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৪ অক্টোবর ২০২২

চলছে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার শূটিং

‘নয়া মানুষ’ সিনেমার শূটিংয়ে শশুশিল্পী ঊষশি ও মৌসুমী হামিদ

চাঁদপুর মেঘনার বাঁকে দুর্গম এক চরে চলছে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার শূটিং। ১৩ অক্টোবর থেকে মৌসুমীসহ ৬৫ জনের টিম নিয়ে ক্যাম্প গড়েন নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার অন্যতম দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন শিশুশিল্পী ঊষশী ও মৌসুমী হামিদ। আ.ম.ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচর’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। বয়াতির এটি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। ছবিটির গল্প নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত মৌসুমী। তার ভাষায়, শুধু এই গল্পটার জন্যই এতোটা দুর্গম চরে এসে কষ্ট করেছি। শুধু দুর্গমই নয়; এর সঙ্গে যুক্ত হলো ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
তিনদিন ধরে বৃষ্টি-মেঘ সেই চরে। ২৩ অক্টোবর তো ২৪ ঘণ্টাই ঝরলো বৃষ্টি। এরমধ্যে গোটাদিন আমি আর ঊষশী ভিজে ভিজে শূটিং করেছি। সেদিন সকাল থেকে দেখছিলাম অদ্ভুত আরেকটি ঘটনা। নদীর পানি বেড়ে পুরো চরটা ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে। তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দিয়েছে সেখানে। এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। এরমধ্যেও আমরা শূটিংটা করে গেছি ভিজে ভিজে ভয়ে ভয়ে।

সন্ধ্যায় শেষ করেছি। শুরু হলো তুমুল ঝড়-বাতাস। গল্পটা মাটির। সিনেমাটা নিয়ে আমাদের অনেক একসাইটমেন্ট। এটা ধর্মবর্ণ সব ছাপিয়ে কিছু ঘরপোড়া মানুষের গল্প। যে মানুষগুলোর মধ্যে আমি নিজেকেও খুঁজে পাই। সেজন্যই, সব প্রতিবন্ধকতা সামলে কাজটি করছি।
পরিচালক বয়াতি বলেন, নদীর এক কূল ভেঙ্গে অন্য কূল গড়ে- তেমনি ভাসতে ভাসতে মানুষও একচর থেকে আরেক চরে চলে যায়। নতুন মানুষ চরে এলে কী রকম সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি হয় সেটা নিয়েই গল্প। এটার মধ্যে প্রেম, প্রকৃতি, ভালোবাসার ও জীবনদর্শনের গল্পও দেখবেন দর্শক।

চলচ্চিত্রটিতে মৌসুমী-ঊষশী ছাড়াও অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, রওনক, বদরুদ্দোজা, সরণ সাহা, আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সানজানা, পারভিন পারু, মাহিন রহমান, এ্যাঞ্জেলাসহ চরের প্রায় দুইশ’ মানুষ। মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত না হলেও, নতুন বছরের শুরুতেই ছবিটি মুক্তি দিতে আগ্রহী বয়াতি।

×