ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এখন খুব লজ্জা লাগে : মিয়া খলিফা

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

এখন খুব লজ্জা লাগে : মিয়া খলিফা

মিয়া খলিফা

সাবেক পর্ন তারকা মিয়া খলিফা। তিনি  ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মাত্র তিন মাস পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। আর এর মধ্য দিয়েই পর্নহাবের শীর্ষ তারকার খাতায় নাম লিখান।

পর্ন দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর অনেক কষ্ট সইতে হয়েছে মিয়া খলিফাকে। এখন তাঁর অনুভব, কিছু ভুল হয়ে যায় জীবনে, যা ‘ক্ষমার অযোগ্য’। মানুষ যখন তাঁকে ‘পোশাকের ভেতর দিয়ে’ দেখে, ‘খুব লজ্জা’ হয় তাঁর।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির ‘হার্ড টক’-এ স্টিফেন সাকুরের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই বলেন সাবেক পর্ন তারকা মিয়া খলিফা। বলেন, ঠিক কত দিন এ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন আর সেখান থেকে কামিয়েছেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখ টাকার মতো।

মিয়া জানান, পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধব তাঁকে ছেড়ে চলে যান। নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

‘আমি শুধু এই দুনিয়া থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি, আমার পরিবার ও চারপাশের মানুষজন আমাকে একঘরে করে দিয়েছিল। বিশেষ করে, যখন আমি ছেড়ে দিলাম, খুব নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলাম। আমি বুঝতে পারলাম, কিছু ভুল ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু সময় সবকিছু বদলে দেয়। এখন আমার অবস্থা ভালোর দিকে,’ বলেন মিয়া।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর খুবই মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। কারণ, মানুষজন তাঁর দিকে ‘অন্যভাবে’ তাকিয়ে থাকত। ‘আমার মনে হতো, লোকজন আমাকে পোশাকের ভেতর দিয়ে দেখছে এবং এ জন্য আমার খুব লজ্জা পেত। মনে হতো, বোধ হয় আমি নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সবটুকু হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, গুগলে সার্চ করলেই তো আমাকে পাওয়া যায়,’ বলেন মিয়া।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের বিপদ সম্পর্কেও খোলামেলা কথা বলেন মিয়া খলিফা। বলেন, এখনই এই বিপদসমূহ নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। জোরপূর্বক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করানো নিয়েও কথা বলেন তিনি।

পর্ন দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পরে মিয়া খলিফা গ্রন্থাগারিক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।

গত বছর প্রেমিক রবার্ট স্যান্ডবার্গের সঙ্গে আংটিবদল করেন মিয়া খলিফা। শিকাগোতে এই লেবানীয়-মার্কিন ক্রীড়া শো সঞ্চালক ও সাবেক পর্নস্টারকে প্রস্তাব দেন সুইডেনের রন্ধনশিল্পী রবার্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগদানের খবর জানান দুজনই। 

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×