
অভিনেত্রী শারমিন আক্তার নিসা
অভিনেত্রী শারমিন আক্তার নিসা। দীর্ঘদিন মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নাট্য সংগঠক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। শান্তিনগর থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা ‘লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ নাটকে মোনালিসা চরিত্রে রূপদান করছেন তিনি। নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায়।
নাটকে অভিনয় এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কথা হয় জয়পুরহাটের নৃত্যালয় ও পিপুলস থিয়েটার এ্যাসোসিয়েশনের এ সভাপতির সঙ্গে। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন গৌতম পাণ্ডে।
জয়পুরহাট থেকে ঢাকায় এসে ‘লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ নাটকের প্রিমিয়ারকে কিভাবে দেখছেন ?
শারমিন আক্তার : একটি এক্সইটিং বিষয় তো বটেই। প্রথম প্রদর্শনী ঢাকার মঞ্চে। প্রায় পাঁচশত বছর আগের অথচ সমকালে কম বেশি সকলের জানা বিষয়টাকে গভীর ও নান্দনিকভাবে তুলে ধরাটা তুলনামূলক কঠিন। তাই চ্যালেঞ্জটাও একটু বেশি।
মোনালিসা চরিত্র নিয়ে বলেন
শারমিন আক্তার : মোনালিসা লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির একটি অমর সৃষ্টি। আমি আগে মোনালিসাকে নিয়ে যতটা জানতাম না, অভিনয় করতে এসে অনেক কিছু জানারও সুযোগ হয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রে নাট্যকার অপূর্ব কুমার কু-ু ও নির্দেশক এইচ.আর অনিকের জন্যই হয়েছে। আমি নিরব মোনালিসাকে মঞ্চে আনার চেষ্টা করছি একটি ব্যক্তিত্বসম্পূর্ণ নারী হিসেবে।
মোনালিসা আমার চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। তবে বলে রাখা ভাল প্রয়াত নাট্যাচার্য্য ড. সেলিম আল দীনের তিনটি নাটক ‘বাসন’, ‘গ্রন্তিকগন কহে’ এবং ‘ইতিপত্র মিতা’ এই তিনটি প্রযোজনায় আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি।
নাটকটি নিয়ে শান্তিনগর থিয়েটার কতটা আশাবাদী ?
শারমিন আক্তার : শান্তিনগর থিয়েটারের সকল কর্মীগণ সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে ‘লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ নিয়ে আমরা প্রচ- আশাবাদী।
ঢাকার দর্শকের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কি ?
শারমিন আক্তার : দর্শক আমাদের প্রাণ অন্য অর্থে লক্ষী। আমরা যা কিছু করি সবই দর্শকের ভালবাসা-মূল্যায়ন পাওয়ার জন্য। আশাকরি দর্শক আমাদের এই প্রযোজনা দেখবেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন। তবে ঢাকার দর্শক নিয়মিত জেলা শহরের কাজ ইচ্ছা থাকলেও দেখতে পারেন না অথচ আমারাতো করেই চলেছি।
ফলে বিশ্বজনীন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে আনুমানিক ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট মঞ্চায়নের সময়কালের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার গুরু দায়িত্ব আমরা শান্তিনগর থিয়েটার যেন পারি এবং আপনাদের উপস্থিতি সহযোগিতা যেন আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে শক্তি যোগায়।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আপনার ব্যস্ততা নিয়ে বলুন।
শারমিন আক্তার : যেকোন কাজই গভীরতা, মমত্ব ও ভালবাসা নিয়ে করতে হয়। আমি সকল ক্ষেত্রে এ বিষয়টা নিয়ে আনন্দের সঙ্গে কাজগুলো করার চেষ্টা করি এবং সে জন্য অভিনেত্রী প্রশিক্ষক ও সাংগঠনিক কোন কাজেই বাধাগ্রস্ততায় আমি থেমে থাকি না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশিক্ষণ, গ্রাম থিয়েটার, নৃত্যালয়ে অংশগ্রহণ সবগুলোতেই আমি শ্রম এবং আন্তরিকতা উজাড় করে দেই। আর সর্বদা পাশে আমার জীবন সঙ্গী-শিল্প সঙ্গী ও দল প্রধান মিজানুর রহমান।