
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। গত ২৫ এপ্রিল থেকে ‘আর্ট অব প্লেটিং সিজন ২’ দিয়ে আবার হাজির হয়েছেন পর্দায়। এর আগে প্রায় দেড় বছর ধরে পর্দায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ‘আর্ট অব প্লেটিং সিজন ২’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। অনুষ্ঠানটি প্রতি শুক্র ও শনিবার বাংলা ভিশনে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে, দীপ্ত টেলিভিশনে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে। দেড় বছর পর পর্দায় ফেরা নিয়ে টয়ার ভাষ্য, ‘গত দেড় বছরে নাটকে অভিনয় না করলেও শোবিজে অ্যাক্টিভ ছিলাম। মার্কেটিংয়ে কাজ করেছি। তবে হ্যাঁ, পর্দায় দেড় বছর গ্যাপটা কম নয়। এবার হোস্টিংয়ের মাধ্যমে ফিরলাম। দারুণ একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। দেশের সেরা তারকারা অতিথি হয়েছেন।’
অনুষ্ঠানটি কোন ধরনের? সেটি নিয়ে টয়া বলেন, ‘২০২২ সালে অনুষ্ঠানটির প্রথম সিজন হয়েছিল। আসলে নতুন প্রজন্মের প্লেটিং শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করতেই অনুষ্ঠানটি করা। এতে প্রতিযোগীরা তাদের সৃজনশীলতায় ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের গল্প ফুটিয়ে তুলবে নিজ নিজ প্লেটের ক্যানভাসে।’
প্রচার চলতি অনুষ্ঠানের বাইরে নতুন কাজ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। কয়েকটি প্রস্তাব আছে, আগে গল্প লক করি, তারপর বলব। আসলে গ্যাপ তৈরি হওয়ায় যে নতুন প্রজন্ম এখন নাটক, ওয়েব নির্মাণ করছে, তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগটা সেভাবে তৈরি হয়নি। আশা করছি, খুব দ্রুত এই দূরত্বটা কমে আসবে। আমিও নিয়মিত হব নাটক-ওয়েবে।’
ছোটপর্দার বাইরে চলচ্চিত্রের প্রতিও আগ্রহ আছে এ নায়িকার। চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে কোনো সুখবর আছে? তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমাটা করতে চাই। তবে ব্যাটে-বলে কেন যেন হচ্ছে না। এর মধ্যে দুটি চলচ্চিত্র কিছুটা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এখনই বলতে চাই না। আগেও একটা চলচ্চিত্র চূড়ান্ত হওয়ার পর সেটা হয়নি। ফলে এবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তারপর সবাইকে জানাব।’
২০১০ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেন টয়া। কেটে গেল দেড় দশক। ভালো লাগা, মন্দ লাগা কত ঘটনাই তো আছে তার দেখা। সেটি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লাগা কাজ করে এটা ভেবে যে আমার নিজের কিছু দর্শক তৈরি হয়েছে। তারা আমার নাটক দেখে, দেখতে চায়। এখনো শপিংয়ে বা রেস্টুরেন্টে গেলে কেউ উঠে এসে জানতে চায়, আপনার নতুন নাটক কবে দেখব? এটাই আমার অর্জন। আমি আসলে এই দেড় বছরের গ্যাপ দিতে চাইনি। ভালো পাণ্ডুলিপি খুঁজেছি, যেন টয়াকে মানুষ পছন্দ করে। অথচ তেমন পাণ্ডুলিপি পাইনি। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি, মেধাবী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাজ করছে না, অথচ সাধারণ কেউ কেউ একের পর এক কাজ করে চলছে। যদিও এটা ভাগ্য। সবার ভাগ্য সমান নয়। আমি কাউকে হিংসা করেও কথাটা বলছি না। তবে আমার ক্ষেত্রে ব্যাটে-বলে না মিললে খুব কষ্ট লাগে।’
এবার ঈদের সিনেমা নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে। দেখেছেন কোনোটা?
দুটি সিনেমা দেখেছি ‘জংলি’ ও ‘বরবাদ’। দুটিই ভালো লেগেছে। ‘চক্কর ৩০২’ ও ‘দাগি’র সুন্দর রিভিউ পড়েছি। পড়ে দেখার আগ্রহ জন্মেছে। শীঘ্রই দেখব।
প্যানেল