
ছবিঃ সংগৃহীত
ভয়াবহ দাবানলে দাউ দাউ করে পুড়ছে ইসরায়েল। আগুনের লেলিহান শিখার কাছে অসহায় হয়ে দিকবিদিক ছুটছে মানুষ। রাস্তায় গাড়ি ফেলে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন বহু ইসরায়েলি নাগরিক। আগুনে পুড়ে গেছে বেশ কয়েকটি যানবাহন, ধোঁয়ায় কালো হয়ে গেছে চারপাশের পরিবেশ।
এই দাবানলের তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব থেকে শুরু করে জেরুজালেম পর্যন্ত বিস্তৃত গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার দাবানলের আঘাতে বিপর্যস্ত নেতানিয়াহু প্রশাসন।
জেরুজালেম ও তেলআবিবের বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক এলাকা থেকে বিপদগ্রস্তদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন অনেকে। প্রচণ্ড তাপ ও ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসরায়েলি দমকল বাহিনীর পাশাপাশি বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
চরম এই পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনী, আইডিএফ ইউনিট এবং ইসরায়েলি পুলিশের সদস্যদের দমকল বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একইসাথে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য একাধিক দেশের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
দাবানলের এই ভয়াবহতা অনেকের মধ্যেই সৃষ্টি করেছে এক প্রশ্ন—এ কি প্রকৃতির প্রতিশোধ? গাজায় বোমা ও গুলির আঘাতে ইসরায়েলের নির্মমতা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবিম্ব যেন নিজ দেশেই ফিরে এসেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেক নেটিজেন। কেউ কেউ একে ‘মহান প্রভুর গজব’ বলেও উল্লেখ করছেন।
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানলটি এমন এক সময় আঘাত হেনেছে, যখন দেশটি তাদের কথিত স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে যে ভূখণ্ডে রাষ্ট্র গঠন করে ইসরায়েল, সেই ঘটনার ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার থেকে উৎসবের পরিকল্পনা ছিল দেশজুড়ে।
তবে দাবানলের কারণে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনুষ্ঠান—বিশেষ করে বারবিকিউ পার্টি ও জনসমাগম সংবলিত আয়োজন—বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
ইমরান