
ছবি: সংগৃহীত
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত মডেল মেঘনা আলম অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। কারাবন্দি থাকা অবস্থায় নানা জল্পনা-কল্পনা এবং বিতর্কের পর ১৯ দিন পর মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ১০ এপ্রিল মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি ওই কারাগারেই বন্দি ছিলেন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ ছিল, তিনি বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের টার্গেট করে মেয়েদের ব্যবহার করে ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলতেন এবং অর্থ আদায়ের চেষ্টা করতেন।
মেঘনা আলমের পরিবারের দাবি, আট মাস আগে সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের চার মাস পর, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তাদের মধ্যে গোপনে বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে এই সম্পর্কের বৈধতা বা আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারের পর ১০ এপ্রিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় এক বিদেশি কূটনীতিকের কাছ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবির অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় মেঘনা আলম ছাড়াও তার পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেয়ান সমীরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
আটকের প্রায় এক সপ্তাহ পর ১৭ এপ্রিল এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ২১ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোসা. কাওয়ালিন নাহার। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আটকাদেশ প্রত্যাহার এবং মামলায় জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী মেঘনা আলমকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=TXVIxlGULZE
রাকিব