
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক সামছুজ্জোহা রঞ্জুর বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
জানা যায়, ২০০২ সালের ১ অক্টোবর তারিখে একটি জাল কম্পিউটার সনদ দাখিলের মাধ্যমে তিনি কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সরকার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি নিজেকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবেও ঘোষণা দেন, যা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
এ প্রসঙ্গে কলেজের অপর প্রভাষক মো. আব্দুল কাওয়ুম কর্তৃক দাখিল করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাউশি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ১২ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এমপিও কমিটির সভায় (ক্রমিক-২৩) প্রভাষক সামছুজ্জোহার বেতন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’-এর ১৭.৯ ও ১৮.১(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন তার এমপিও স্থগিতসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করতে হবে। পাশাপাশি কলেজের বৈধ অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে মতামত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক সামছুজ্জোহা রঞ্জু বলেন, “আমার কম্পিউটার সনদ জাল নয়, এটি একটি ষড়যন্ত্র।”
তবে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, “মাউশি কর্তৃক নোটিশ পাওয়া গেছে এবং কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রমাণও পেয়েছে।”
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই কলেজ ক্যাম্পাসে এই শিক্ষককে ঘিরে সনদ জালিয়াতির গুঞ্জন চলছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সানজানা