
বৃক্ষ বাঁচলেই জীবজগৎ বাঁচবে- কথাটি সত্য হলেও অনেকেই তা মানতে রাজি না। প্রয়োজনেই হোক কিংবা অপ্রয়োজনে নানান কারণে মানুষ আজ নির্বিচারে গাছ কাটছে। বনভূমি উজাড় করে গড়ে তোলা হচ্ছে ফসলি জমি, শিল্প কারখানা ও আবাসিক এলাকা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশে ও জলবায়ুতে। ফলে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং জীববৈচিত্র্যসহ পুরো বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৫ দশ?মিক ২৮ শতাংশ, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর সঙ্গে আরেকটি গুরুতর সমস্যা হলো প্লাস্টিক দূষণ। ব্যবহৃত প্লাস্টিকের অধিকাংশই পুনঃব্যবহারযোগ্য নয়। দিনে দিনে বাড়ছে এর ব্যবহার এবং সেই সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ, যা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে এবং ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
এই বিষয় উপলব্ধি করে সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘প্লাস্টিকের বদলে একটি গাছ’ শীর্ষক ব্যতিক্রমধর্মী একটি আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এই উদ্যোগটি নেয় বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড নামের একটি ছাত্র সংগঠন। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সংলগ্ন বারান্দায় অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে উৎসাহী করা এবং প্লাস্টিক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এই সময়ে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ‘বিট ফর প্লাস্টিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আরও ছয়টি বিভাগীয় আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় এনভায়রো কুইজ, এনভায়রো ফটোগ্রাফি এবং এনভায়রো কেস প্রতিযোগিতা।বিতরণকৃত গাছের চারার মধ্যে ছিল পেয়ারা, নিম, জলপাই, আম, লেবু, লিচু প্রভৃতি ফলদ ও ঔষধি গাছ।
প্যানেল