
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় শুক্রবার (১৭ মে) যৌথ মহড়া চালাল দেশটির একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার এই ব্যারাজ প্রকল্প সংলগ্ন সেতু ও রেলপথজুড়ে এই মহড়ায় অংশ নেয় বিএসএফ, সিআইএসএফ, রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ, ফারাক্কা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা।
সরকারি ভাষ্যে এটিকে ‘মক ড্রিল’ বলা হলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রের বাড়তি তৎপরতার প্রেক্ষাপটে এই মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ। ফারাক্কা ব্যারাজ শুধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে নয়, ভারতের পূর্বাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ পরিবহন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন।
ভারতের সিআইএসএফ কমান্ড্যান্ট মুকেশ কুমারের ভাষ্যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু সীমান্ত নয়, দেশের ভেতরেও হুমকি থাকতে পারে—সেই বাস্তবতায় ফারাক্কা ব্যারাজে এই মাল্টি এজেন্সি মহড়া।
তিনি আরও জানান, ব্যারাজে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, কিভাবে নাগরিকদের সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে—তা এই মহড়ায় পর্যালোচনা করা হয়।
এর আগে, ১৫ মে জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদীর তীরে ‘তিস্তা প্রহার’ নামক এক সামরিক মহড়ায় শেল ও মর্টার ফায়ারিং থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারেরও অনুশীলন করে সেনাবাহিনী। সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল স্পেশাল ফোর্সও।
সেখানে যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিকূল পরিবেশে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করা হয়, আর ফারাক্কায় মূলত দেশের অভ্যন্তরে সুরক্ষা প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়া হয়—এই দুটি মহড়া মিলিয়ে স্পষ্ট যে, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা চাহিদা বাড়ছে।
রাকিব