
মহাত্মা গান্ধীর মতে , ‘মানবতার মাহাত্ম্য মানুষ হওয়ার মধ্যে নয়, মানবিক হওয়ার ক্ষেত্রে
মহাত্মা গান্ধীর মতে , ‘মানবতার মাহাত্ম্য মানুষ হওয়ার মধ্যে নয়, মানবিক হওয়ার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, রোনাল্ড রিয়াগান বলেছিলেন, ‘আমরা হয়ত সকলকেই সাহায্য করতে পারব না, তবে আমরা কাউকে না কাউকে সাহায্য করতে পারব। আর এটাই হলো মানবতা। সেই মানবতার ডাকে সমাজের হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একদল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠা করেন ‘চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবি’।
২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অলাভজনক সংগঠন হিসেবে পথচলা শুরু করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন। মূলত ‘চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবির’ প্রতিষ্ঠার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল নোয়াখালী জেলার সমাজের নি¤œশ্রেণির মানুষদের অবস্থার উন্নয়ন করা এবং সমাজের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলোর সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা।
মূলত নোবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি সমাজের প্রধান ছয়টি সমস্যা নিয়ে কাজ করে। সমস্যাগুলোকে সংগঠনটি প্রধান ছয়টি সেক্টরে ভাগ করে, ঐ সেক্টরে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তারপর সকলে মিলে সেই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ‘নোবিপ্রবি চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন’ মূলত শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক সচেতনতা, বঞ্চিত শিশু, দুর্যোগ মোকাবেলা, পরিবেশের মতো সেক্টরে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নোয়াখালীর আপামর সাধারণ মানুষদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত শীতকালে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার শীতার্ত ও অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছে সংগঠনটি।
এছাড়াও ছিন্নমূল পথশিশুদের কল্যাণে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, নিয়মিত সামাজিক সচেতনতামূলক সভা, জাতীয় দিবসে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবৃত্তি ও ছোটগল্প প্রতিযোগিতা, নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার কর্মসূচি, জাতীয় দিবসসমূহে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করে আসছে সংগঠনটি।
বর্তমানে সভাপতি আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক তাবিবা বিনতে লিয়াকত নেতৃত্বে ২৬ সদস্যবিশিষ্ট ৩য় কার্যিনর্বাহী কমিটির মাধ্যমে ‘চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবি’ নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের সভাপতির আশিকুর রহমান আশিক সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ‘চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন’ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারের পাশাপাশি এদেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।
এই দেশ আমাদের, এই দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের সহোদর। তাই এই দেশের উন্নয়নে মানুষের সেবায় কাজ করতে হবে আমাদের সকলকে। নিজের মন মানসিকতা, দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্য থেকেই সকলের এগিয়ে আসা উচিত আর্ত মানবতার সেবায়। এই লক্ষ্য নিয়েই চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন এগিয়ে যাবে দেশ ও মানবতার সেবায়।