
ছবি: সংগৃহীত
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে আকাশপথে সংঘাতের পরে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এই সংঘাতে পাকিস্তান চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান জে-১০সি (J-10C) ব্যবহার করে ভারতের অন্তত দুটি রাফায়েল জেট ভূপাতিত হওয়ার খবর জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এই ঘটনাটি কেবল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার বার্তা দেয়নি, বরং আলোচনায় নিয়ে এসেছে তৃতীয় এক শক্তিকে—চীনের সামরিক প্রযুক্তিকে।
এই প্রসঙ্গেই আলোচনায় উঠে এসেছে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-৩৫এ (J-35A)। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গোপনে গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং উন্নয়নের পর গত বছরের ১২ই নভেম্বর চীনের জুহাই এয়ার শোতে সর্বপ্রথম জনসম্মুখে হাজির হয় এই পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান।
J-35A কে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন। এটি মূলত শত্রুপক্ষের আকাশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে তৈরি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান শেনইয়াং এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন এই বিমানটি তৈরি করেছে, যা পুরনো জে-৩১ প্রোটোটাইপের ভিত্তিতে উন্নত করা হয়েছে।
এটি দেখতে অনেকটা আমেরিকার এফ-৩৫ এর মতোই। গঠন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন রাডারে ধরা না পড়ে। যদিও চীন এখনো পর্যন্ত এর সেন্সর, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, সামরিক বিশ্লেষকদের ধারণা—এটি একধরনের লো-অবজারভেবিলিটি স্টিলথ প্ল্যাটফর্ম, যা নিঃশব্দে শত্রুপক্ষের আকাশে কার্যকর হওয়ার জন্য আদর্শ।
রয়টার্স জানায়, J-35A এ ব্যবহৃত হতে পারে চীনের নিজস্ব তৈরি উন্নততর ইঞ্জিন WS-19, যা আগের WS-13 থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। এটি যুদ্ধবিমানটির গতি, অস্ত্রবহন ক্ষমতা ও দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে টিকে থাকার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।
J-35 এর একাধিক সংস্করণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি তৈরি হয়েছে বিমানবাহী রণতরিতে ব্যবহারের উপযোগী করে। আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট ও হালকা হওয়ার কারণে এটি চীনের নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। চীনের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-৩৫এ এখনো সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশ না নিলেও, দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে চীনা প্রযুক্তির উপস্থিতি ইতিমধ্যেই কৌশলগত ভারসাম্যকে নাড়া দিয়েছে। এর আগমন প্রমাণ করছে—আগামী দিনের আকাশ-নিয়ন্ত্রণে চীন শুধু থাকবে না, আধিপত্যও দেখাবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=NRspvkHa7hg
রাকিব