খুলনার বাজারে কমছেই না সবজির দাম। ৫০–৬০ টাকার নিচে নেই সবজি। রোজার ঈদের পর সবজির দাম বাড়তে শুরু করলেও এখনও কমেনি। অন্যদিকে মুরগির মাংস, গরুর মাংস ও মাছের দাম অপরিবর্তনীয় রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) নগরীর গল্লামারী বাজার, শিরোমণি বাজার, নিউ মার্কেট বাজার, খালিশপুর বাজার এবং নতুন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, কেজিপ্রতি বেগুন আকার ভেদে ৫০ টাকা, পটল ৪০–৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কুমড়া ৩০–৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০–৫০ টাকায়, বিভিন্ন প্রকার শাক ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০–৫০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা আম ৪০–৫০ টাকা, আলু ২০–২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৬০–৭০ টাকা, রসুন ৮০–১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০–১৮০ টাকা কেজি দরে, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকায়, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০–৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০–৫০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১৩০–১৪০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৪০–১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫০০–৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০–৪০০ টাকা, বিভিন্ন প্রকার ছোট মাছ ২৫০–৩০০ টাকা, কই মাছ ২০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা আকরাম আলী জানান, গরমে সবজি শহরে কম আসতেছে। এজন্য একটু দাম বেশি। বৃষ্টি হলে দাম কমে যাবে। পাইকারি বাজারেও অনেক ধরনের সবজির সংকট রয়েছে।
গল্লামারী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কালাম মিয়া জানান, ঈদের পরে মাছের দাম বাড়েনি। সামান্য কমবেশি হয় পরিবহন খরচের কারণে। এছাড়া ঘেরের মাছ ফিডের উচ্চমূল্যের কারণে আগে থেকেই বাড়তি। আমাদের খুচরা বিক্রি করে সামান্য লাভ হয়।
নিউ মার্কেটের সবজি বিক্রেতা সবুজ সরদার বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম, আর বিক্রিও কম। এজন্য শাকসবজির দাম বেশি। পাইকারি বাজার থেকে আমরা ৫–১০ টাকা লাভে বিক্রি করি।
গল্লামারী বাজারে আসা চাকরিজীবী ফরহাদ হোসেন বলেন, অধিকাংশ সবজির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে নেই। সবজির দাম বাড়তি। সবজির দাম নাগালে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য সুবিধা হয়।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, সবজি আর মাছের দাম অনেক। ৫০০ টাকার নিচে ঘেরের কোনো মাছ নেই। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা কম থাকলেও মাছ–মাংসের দামে ব্যবধান খুব বেশি না।
নিউ মার্কেট বাজারে আসা শিরিনা খাতুন বলেন, সবজির দাম অনেক বেশি। ঈদের পর থেকেই সবজির দাম বাড়তি। ১০০ টাকায় দুই পদ সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হয়। আর পণ্যের কথা তো বাদ দিলাম। তবে সপ্তাহে এক–দুবার বাজার মনিটরিং করলে সব কিছুর দাম নাগালে থাকবে বলে তিনি আশা করেন।
আফরোজা
