
ছবিঃ সংগৃহীত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছেন।
সোমবার (১২ মে) রাত ১১টা থেকে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রবিউল ইসলাম নামে একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আরও তিনজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. তানজিন হোসাইন বলেন, “১২ মে রাত থেকে না খেয়ে থাকা, শরীরে পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে শিক্ষার্থীদের রক্তচাপ কমে যাচ্ছে। আপাতত তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।”
উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না— এমনকি প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত।
অনশনরত শিক্ষার্থী ওয়াহিদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ না হলে আমার কফিন এখান থেকে যাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “২৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা একজন স্বৈরাচার উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ন্যায্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাকে সরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপক্ষের কী ধরনের বাধা রয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”
অপরদিকে আজ বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মারিয়া