
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক ক্ষণস্থায়ী উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান প্রতিটি ফ্রন্টেই সাফল্য অর্জন করেছে। সোমবার জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী দেশ পাকিস্তান, অথচ ভারত বরাবরই নিষ্ক্রিয় সংগঠনগুলোকে উসকে দিয়ে পাকিস্তানের শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রচারিত ভাষণ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে খাজা আসিফ বলেন, পরাজিত এক নেতার অসহায় প্রকাশ ছিল ওই ভাষণে। তিনি জানান, মোদি নিজেই স্বীকার করেছেন কাশ্মীর ও সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার জন্য এখনো উন্মুক্ত। যা এই টানাপড়েনের মধ্যেও এক ধরনের 'আশার আলো' হিসেবে দেখছেন তিনি।
আসিফ আরও বলেন, ভারতের জনগণের মধ্যেই এখন মোদির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তার জনপ্রিয়তা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন, ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে কোনো সংলাপ হলে কাশ্মীরসহ সব মৌলিক ইস্যু পাকিস্তান সামনে তুলবে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু পাকিস্তান নয়, কানাডাসহ অন্যান্য দেশেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ভারতের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। পূর্ব সীমান্তে সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটছে ভারত, আর পশ্চিম সীমান্তে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র মতো গোষ্ঠীগুলো ভারতীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খাজা আসিফ জানান, গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তকে অস্থির রাখতে ভারত নেপথ্যে থেকে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এমনকি আগে যেখানে পশ্চিম সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন পড়ত না, সেখানে এখন তা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে ভারতের হস্তক্ষেপের কারণে।
তিনি আরও বলেন, ১০ মে থেকে শুরু হওয়া প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তান এখন উচ্চ-মূল্যবান ভারতীয় লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করে ভারত এরই মধ্যে পাঁচটি দেশের সঙ্গে মধ্যস্থতার অনুরোধ জানিয়েছে যুদ্ধবিরতির জন্য, জানালেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সূত্র:Geo News
আফরোজা