
সিনিয়র শিক্ষক (অব.)
গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা
ছোট প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই:
১) মানবসৃষ্ট সম্পদের ৫টি উদাহরণ দাও।
উত্তর: মানবসৃষ্ট সম্পদের ৫টি উদাহরণ হলো-
ক) কাগজ খ) প্লাস্টিক গ) কাচ ঘ) বিদ্যুত ঙ) ঘরবাড়ি
২) আমরা কিভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারি?
উত্তর : নিম্নরূপে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারি-
র) সম্পদের অপচয় না করে।
রর) শক্তির ব্যবহার কমিয়ে।
ররর) সম্পদের পুনঃব্যবহার করে।
রা) বস্তুর রিসাইকেল করে।
৩) মানবসৃষ্ট সম্পদ কি?
উত্তর: মানুষ তার চাহিদা পূরণের জন্য যে সকল সম্পদ তৈরি করে তাই মানবসৃষ্ট সম্পদ, যেমন কাগজ, প্লাস্টিক, কাচ, বিদ্যুত ইত্যাদি মানবসৃষ্ট সম্পদ।
৪) মানবসৃষ্ট সম্পদ কোথা থেকে আসে?
উত্তর: মানবসৃষ্ট সম্পদ প্রকৃতি থেকেই আসে। যেমন-প্রাকৃতিক সম্পদ গাছ থেকে মানুষ কাগজ তৈরি করে।
৫) প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর: প্রকৃতিতে পাওয়া যে সকল সম্পদ মানুষ তার চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করে থাকে তাই প্রাকৃতিক সম্পদ।
৬) প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে প্রাপ্ত দুটি উপাদানের নাম লিখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে প্রাপ্ত ২টি উপাদানের নাম হলো (র) খাদ্য ও (রর) বস্ত্র
৭) তেল, গ্যাস, কয়লা কোন ধরনের জ্বালানি?
উত্তর: তেল গ্যাস কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি।
৮) কাচের গ্লাস তৈরির উপকরণ কি?
উত্তর: কাচের গ্লাস তৈরির উপকরণ হলো বালি।
৯) নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
উত্তর: যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সেগুলোকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- পানি, বায়ু, সৌরশক্তি ইত্যাদি।
১০) নবায়নযোগ্য সম্পদের ২টি উদাহরণ দাও।
উত্তর: নবায়নযোগ্য সম্পদের ২টি উদাহরণ হলো-
(র) সূর্যের আলো ও (রর) বায়ুপ্রবাহ
১১) নবায়নযোগ্য সম্পদের ২টি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর: নবায়নযোগ্য সম্পদের ২টি গুরুত্ব হলো-
(i) নবায়নযোগ্য সম্পদ বারবার ব্যবহার করা যায়।
(ii) নবায়নযোগ্য সম্পদকে অনবায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
১২) অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
উত্তর: যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ একবার নিঃশেষ হয়ে গেলে আর পাওয়া যাবে না, সেগুলোকে বলা হয় অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন-কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিযাম ও অন্যান্য খনিজ দ্রব্য।
১৩) অনবায়নযোগ্য সম্পদের ২টি উদাহরণ দাও।
উত্তর: অনবায়নযোগ্য সম্পদের ২টি উদাহরণ হলো-
(i) তেল ও (ii) গ্যাস
১৪) উইন্ডমিল কী?
উত্তর: উইন্ডমিল হলো এক ধরনের চক্রাকার যন্ত্র যার সাহায্যে প্রবাহিত বায়ুকে কাজে লাগিয়ে অতি সহজেই পাখাযুক্ত চাকা ঘুরিয়ে জেনারেটর দ্বারা বিদ্যুত উৎপাদন করা যায়।
১৫) সৌরশক্তির ২টি সুবিধা লেখ।
উত্তর: সৌরশক্তির ২টি সুবিধা হলো-
(র) সৌরশক্তির সাহায্যে বিদ্যুত উৎপাদন করা যায়।
(রর) সৌরশক্তির সাহায্যে ক্যালকুলেটর চালানো যায়।
১৬) মানবসৃষ্ট বস্তুগুলো তৈরিতে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: মানবসৃষ্ট বস্তুগুলো তৈরিতে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করা হয়।
১৭) তেল, গ্যাস ও কয়লার যথাযথ ব্যবহারের একটি কারণ লেখ।
উত্তর: তেল, গ্যাস ও কয়লার যথাযথ ব্যবহারের একটি কারন হলো-প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা।
১৮) প্রাকৃতিক সম্পদের ২টি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের ২টি ব্যবহার হলো-
(র) প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আমরা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শক্তি পাই।
(রর) সৌর প্যানেল ব্যবহার করে সূর্য থেকে বিদ্যুত শক্তি পাই।
১৯) প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের ২টি উপায় লিখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের ২টি উপায় হলো-
(i) শক্তির ব্যবহার কমিয়ে ও
(ii) বস্তুর পুণঃব্যবহারের মাধ্যমে
২০) গ্যাসের বিকল্প হিসেবে কোনটি ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারি?
উত্তর: গ্যাসের বিকল্প হিসেবে সৌর শক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারি।
২১) সৌর প্যানেল কাকে বলে?
উত্তর: সূর্যের আলোকে বিদ্যুত শক্তিতে রূপান্তকারী যন্ত্রকে সৌর প্যানেল বলে।
২২) রিসাইকেল করা কী?
উত্তর: কোনো জিনিস একবার ব্যবহারের পর পুনরায় ব্যবহার করাকে রিসাইকেল বলে।
২৩) কয়লাকে কেন অনবায়নযোগ্য বলা হয়?
উত্তর: কয়লাকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয় কারণ কয়লা একবার নিঃশেষ হলে হাজার হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
ঘ) রচনামূলক প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই?
১) অনবায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প হিসেবে কেন নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর: তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যদি অনবায়নযোগ্য সম্পদ। প্রকৃতিতে এসব সম্পদ সীমিত। তাছাড়া এ সকল সম্পদ একবার নিঃশেষ হলে হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। অপরদিকে নবায়নযোগ্য সম্পদ অফুরন্ত। বারবার ব্যবহার করা যায় এবং সহজলভ্য। তাছাড়া এসব সম্পদের ব্যবহার পরিবেশকে দুষিত করে না। তাই নবায়নযোগ্য সম্পদ অনবায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
২) প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার কেন প্রয়োজন?
উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু কিছু কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে এক সময় নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যাবে না। যেমন তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি, তবে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এ সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। আর এ সংরক্ষিত সম্পদ আমাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের জন্য আমরা বস্তুর পুনঃব্যবহার ও রিসাইকেল করে থাকি। যা ধীরে ধীরে পরিবেশ দূষণ কমাতে সক্ষম। তাই প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন।
৩) প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদের মধ্যে মিল ও পার্থক্য কোথায়?
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদের মধ্যকার মিল ও পার্থক্যগুলো নিচে দেয়া হলো-
মিল:
(i) উভয় ধরনের সম্পদ মানুষের চাহিদা পুরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
(ii) উভয় প্রকৃতি থেকেই আসে।
পার্থক্য:
(i) প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা সরাসরি প্রকৃতি থেকে পেয়ে থাকি। অন্যদিকে মানবসৃষ্ট সম্পদ হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের রূপান্তরিত রূপ।
ii) প্রাকৃতিক সম্পদ সহজে নষ্ট হয় না। অপরদিকে মানবসৃষ্ট সম্পদ সহজে নষ্ট হয়।
iii) প্রাকৃতিক সম্পদ মানুষ তৈরি করতে পারে না। আর মানবসৃষ্ট সম্পদ মানুষ তৈরি করে। iv) প্রাকৃতিক সম্পদ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হয় বলে পরিবেশ দূষিত হয় না। অন্যদিকে মানবসৃষ্ট সম্পদ তৈরিতে কখনো কখনো পরিবেশ দূষণ ঘটে।
৪) প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? ২টি মানবসৃষ্ট সম্পদের নাম লেখ। সম্পদ হিসেবে পানির ২টি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর: প্রকৃতিতে পাওয়া যে সকল সম্পদ মানুষ তার চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করে থাকে তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
২টি মানবসৃষ্ট সম্পদের নাম হলো (র) কাগজ ও (রর) কাঁচ
সম্পদ হিসেবে পানির ২টি গুরুত্ব হলো-
(i) আমাদের শরীরের পানির প্রয়োজন না মিটিয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
(ii) পানি ছাড়া উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না তাই ফসল উৎপাদনে পানির কোনো বিকল্প নেই।