
সিনিয়র শিক্ষক (অব.)
গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা
ক) শূন্যস্থান পূরণ কর
১। বায়ুদুষণ মানুষের - জন্য ক্ষতিকর।
২। চিপর এর প্যাকেট বায়ুুর - ব্যবহার করা হয়।
৩। গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমরা বায়ু - রাখতে পারি।
৪। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুমন্ডলের - হ্রাস করতে পারি।
৫। বায়ুপ্রবাহ উইন্ডমিলের পাখা ঘোরানোর মাধ্যমে - উৎপাদন করে।
৬। শ্বাসকষ্টের রোগীকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে - সরবরাহ করা হয়।
৭। পর্বতারোহীকে - মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।
৮। আগুন নেভানোর কাজে - যন্ত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
৯। সম্পদের - প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে আমরা দুষণ প্রতিরোধ করতে পারি।
১০। - গ্যাস বাযুতে বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১১। শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রাণীর বায়ুর - প্রয়োজন।
১২। - ক্যান্সার বায়ু দুষণজনিত একটি রোগ।
১৩। বায়ুপ্রবাহ ভেজা বস্তু থেকে দ্রুত পানি - নিতে সাহায্য করে।
১৪। বায়ু দুষণ মানুষের - জন্য ক্ষতিকর।
১৫। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিভিন্ন ধরনের - নির্গত হয়।
১৬। মানুষের বিভিন্ন - বায়ু দুষণের একটি বড় কারণ।
১৭। -সার প্রস্তুতিতে বায়ুর নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
১৮। বায়ু দুষণ - ক্ষতি সাধন করে।
উত্তর: ১।স্বাস্থ্যের ২। নাইট্রোজেন ৩। দুষণমুক্ত ৪। কার্বন ডাই-অক্সাইড ৫। বিদ্যুৎ ৬। অক্সিজেন ৭। অক্সিজেন সিলিন্ডারের ৮। অগ্নিনির্বাপক ৯। রিসাইকেল ১০। কার্বন ডাই-অক্সাইড
১১। অক্সিজেন ১২। ফুসফুসের ১৩। সরিয়ে ১৪। স্বাস্থ্যের ১৫। ক্ষতিকর গ্যাস ১৬। কর্মকা- ১৭। ইউরিয়া ১৮। জীব ও প্রাকৃতিক পরিবেশের।
(খ) প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেইঃ
(১) এসিড বৃষ্টির ২টি কারণ লেখ।
উত্তর: এসিড বৃষ্টির ২টি কারণ হলো-
(র) ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুতে বেড়ে যাওয়ার ফলে এসিড বৃষ্টি হয়।
(রর) কলকারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যাওয়ায় এসিড বৃষ্টি ঘটে।
(২) এসিড বৃষ্টির ২টি ক্ষতিকর দিক লেখ।
উত্তর: এসিড বৃষ্টির ২টি ক্ষতিকর দিক হলো-
(র) মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।
(রর) জীব মারা যেতে পারে।
(৩) কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যে বৃষ্টি হয়।তার নাম কী?
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইডও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যে বৃষ্টি হয়। তার নাম এসিড বৃষ্টি।
(৪) বায়ু দুষণ কাকে বলে?
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক উৎপাদন পরিবর্তন হওয়াকে বায়ু দুষণ বলে।
(৫) বায়ু দুষণের কারণে মানুষ আক্রান্ত হয় এমন দুটি রোগের নাম লেখ।
উত্তর : বায়ু দুষণের কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হতে পারে এমন দুটি রোগ হলো :
(র) ফুসফুসের ক্যান্সার।
(রর) হৃদরোগ।
(৬) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বায়ুপ্রবাহের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। এরূপ দুটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: বায়ুর দুটি ব্যবহার হলোঃ
(র )ফুটবল, গাড়ি, রিক্সা বা সাইকেলের টায়ার ফোলানোর জন্য বায়ু ব্যবহার করা হয়।
(রর) শ্বাসকষ্টের রোগী, ডুবুরি এবং পর্বতারোহী বায়ু অক্সিজেন ব্যবহার করে।
(৭) বায়ুপ্রবাহকে আমরা কী কী কাজে ব্যবহার করতে পারি তা পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর: বায়ুপ্রবাহকে আমরা যে যে কাজে ব্যবহার করতে পারি তা পাঁচটি বাক্য দেয়া হলো:
(র) বড় চরকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদুৎ উৎপাদনে বায়ু প্রবাহকে ব্যবহার করতে পারি।
(রর) হাতপাখা বা বৈদ্যুতিক পাখার বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে শারীর ঠান্ডা রাখতে পারি।
(ররর) বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে নদীতে পাল তোলা নৌকা চালাতে পারি।
(রা) বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে ভেজা কাপড় শুকাতে পারি।
(া) হেয়ার ড্রায়ারের বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে ভেজা চুল শুকাতে পারি।
(৮) বায়ু দুষণরোধে ৪টি করণীয় লেখ।
উত্তরঃ বায়ু দুষণরোধে ৪টি করণীয় উপায় নিচে দেওয়া হলো-
(র) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে।
(রর) গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করা।
(ররর) ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে।
(রা) গাছ লাগানোর মাধ্যমে বায়ু দুষণ রোধ করা যায়।
(৯) মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দুষণের তিনটি প্রভাব লেখ।
উত্তরঃ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দুষণের ৩টি প্রভাব নিচে দেওয়া হলো।
(র) ফুসফুসের ক্যান্সার হয়।
(রর) শ্বাসজনিত রোগ হয়।
(ররর) হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
(১০) ধূমপান ক্ষতিকর কেন?
উত্তর : ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যে ব্যক্তি ধুমপান করে তার নানা অসুখ হয়। যেমন-এলার্জি, কাশি, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি। বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়া বায়ুকে দুষিত করে।এ বায়ু পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে মানুষেরও ক্ষতি হয়। বিশেষ করে কেউ বন্ধ ঘরে ধুমপান করলে ঘরে থাকা মানুষের আরও বেশি ক্ষতি হয়। এসব কারণেই ধূমপান ক্ষতিকর।
(১১) বায়ুর ২টি উপাদানের ২টি করে ব্যবহার লেখ। প্রবাহিত বায়ু আমাদের কী কী কাজে লাগে?
উত্তরঃ বায়ুর ২টি উপাদান হলো- অক্সিজেন ও কার্বনডাই অক্সাইড। এদের ২টি ব্যবহার নিম্নরূপ-
অক্সিজেন এর ২টি ব্যবহারঃ
(র) অক্সিজেন আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে।
(রর) প্রাণীরা শ্বাস গ্রহণের সময় বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর ২টি ব্যবহার।
(র) বিভিন্ন কোমল পানীয়তে ঝাঁজালো ভাব ধরে রাখার জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
(রর) আগুন নেভানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
প্রবাহিত বায়ু আমাদের যেসব কাজে লাগে তা হলো-
(র ) বড় চাকা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে।
(রর) হেয়ার ড্রায়ারের মাধ্যমে ভেজা চুল শুকিয়ে।
(ররর) বাতাসে ভেজা কাপড় শুকিয়ে।