
ছবিঃ সংগৃহীত
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী? আবেদন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজড (মানবদ্ধ) ভর্তি পরীক্ষা, যা আপনার একাডেমিক ও ভাষাগত প্রস্তুতির মূল্যায়ন করে। ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ে রয়েছে IELTS ও TOEFL, আর SAT, GRE এবং GMAT ব্যবহৃত হয় যথাক্রমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তি যোগ্যতা নির্ধারণে। পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ (PTE Academic) ইংরেজি দক্ষতার আরেকটি বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে।
বিদেশে পড়তে যাওয়া মানে শুধু উন্নত শিক্ষাই নয়, এটি বিশ্বমানের সুযোগ, নতুন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা এবং উত্তেজনাপূর্ণ ক্যারিয়ারের পথ খুলে দেয়। তবে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার আগে এক অনিবার্য ধাপ হলো এই ভর্তি পরীক্ষাগুলো। গন্তব্য দেশ ও কোর্সের স্তর অনুযায়ী (স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা এমবিএ) বিভিন্ন পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
ইংরেজি দক্ষতা থেকে শুরু করে গণিত বা ব্যবসায়িক দক্ষতা যাচাই পর্যন্ত, এই পরীক্ষাগুলো আপনার আবেদনের ভিত্তি গড়ে দেয়। নিচে এমন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরা হলো, যা আপনার বিদেশে পড়াশোনার যাত্রাকে দৃঢ় ও সফল করতে সাহায্য করবে।
১. ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (IELTS)
IELTS একটি বহুল স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা নিরূপণকারী পরীক্ষা, যা যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রহণ করে। এটি শ্রবণ, পাঠ, লেখা ও কথোপকথনের চারটি দক্ষতা যাচাই করে। কথা বলার অংশটি সরাসরি পরীক্ষকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। স্কোর ০ থেকে ৯ পর্যন্ত হয়, এবং বেশিরভাগ একাডেমিক প্রোগ্রামে ন্যূনতম ৬.০ ব্যান্ড প্রয়োজন।
২. টোফেল (TOEFL)
TOEFL একটি ইংরেজি দক্ষতা যাচাইকারী পরীক্ষা, যা বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কিছু অঞ্চলে জনপ্রিয়।
TOEFL সাধারণত অনলাইনে (TOEFL iBT) নেওয়া হয় এবং এতে পাঠ, শ্রবণ, লেখা ও কথোপকথনের অংশ থাকে। মোট স্কোর ১২০-এর মধ্যে হয় এবং বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ থেকে ১০০ বা তার বেশি স্কোর আশা করে।
৩. স্কলাস্টিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট (SAT)
SAT যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পাঠ, লেখা ও গণিতের দক্ষতা যাচাই করে। স্কোর ৪০০ থেকে ১৬০০ এর মধ্যে হয়। যদিও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখন টেস্ট-অপশনাল নীতি গ্রহণ করেছে, তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে SAT এখনও গুরুত্বপূর্ণ।
৪. গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (GRE)
GRE সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং, সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন হয়। এতে আছে ভার্বাল রিজনিং, কোয়ানটিটেটিভ রিজনিং এবং অ্যানালিটিকাল রাইটিং অংশ। প্রধান স্কোর ২৬০ থেকে ৩৪০ পর্যন্ত এবং লেখার জন্য আলাদা ৬-এর মধ্যে স্কোর দেওয়া হয়।
৫. গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (GMAT)
GMAT ব্যবহৃত হয় মূলত ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায়। এতে মৌখিক, পরিমাণগত, বিশ্লেষণাত্মক লেখা এবং ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং-এর দক্ষতা যাচাই হয়। স্কোর ২০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে, এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামগুলোর জন্য সাধারণত ৬০০-এর উপরে স্কোর প্রত্যাশিত।
৬. পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ - PTE Academic
PTE Academic একটি কম্পিউটার-ভিত্তিক ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা, যা অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রহণ করে। এটি কথা বলা, লেখা, পাঠ ও শ্রবণের দক্ষতা যাচাই করে এবং অটোমেটেড স্কোরিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। সাধারণত ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায় এবং স্কোর চাহিদা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে ভিন্ন হয়—সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ এর মধ্যে।
মুমু