
প্রাথমিক সমাপনী -পরীক্ষার প্রস্তুতি- বিষয় : বিজ্ঞান অধ্যায় : ষষ্ঠ (সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য)

ক। সঠিক উত্তরগুলো জেনে নেই :
১। ৬-১২ বছর বয়সী শিশুর দৈনিক কী পরিমাণ দুধ পান করা প্রয়োজন?
ক) ২৫০ মি. লি খ) ৩০০ মি.লি
গ) ২০০ মি.লি ঘ) ৫০০ মি. লি
উত্তর : ক) ২৫০ মি. লি।
২। সুষম খাদ্যের অভাবে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এর ফলে শিশুর-
ক) ঘন ঘন ডায়রিয়া হবে।
খ) সুস্থ সবলভাবে বেড়ে উঠতে ব্যাঘাত হবে।
গ) সহজে মাথাব্যাথা ও জ্বরে আক্রান্ত হবে।
ঘ) কলের,আমশায় রোগে আক্রান্ত হবে।
উত্তর : খ) সুস্থ সবলভাবে বেড়ে উঠতে ব্যাঘাত হবে।
৩। প্রতিদিন অধিক ভাত খাওয়ার ফলে কী হতে পারে?
ক) দেহ হালকা হয়ে যাবে
খ) দেহ ভারী হয়ে যাবে
গ) স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে
ঘ) লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে
উত্তর : খ) দেহ ভারী হয়ে যাবে।
৪। সুষ্ম খাদ্য দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও কিছু কিছু খাদ্য দেহকে অলস করে দেয়। এ জাতীয় খাদ্য কোনটি?
ক) দুধ, দই খ) শাকসবজি
গ) ফলমূল ঘ) বার্গার, চিপস।
উত্তর : ঘ) বার্গার, চিপস।
৫। সুমন অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহ বেশি ভারী হয়ে যায়। এতে তার কোন ক্ষমতা হ্রাস পায়?
ক) ঘুমানোর খ) দৃষ্টির
গ) কাজ করার ঘ) বিনোদনের
উত্তর : গ) কাজ করার
৬। ফ্রিজে মাছ, মাংস, গাজর, টমেটো ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায়-
ক) তিন –নয় মাস পর্যন্ত খ) পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত
গ) পাঁচ-আট মাস পর্যন্ত ঘ) চার-দশ মাস পর্যন্ত
উত্তর : খ) পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত
৭। গলদা চিংড়ি হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা হয় কেন?
ক) স্বাদ বৃদ্ধি করতে খ) খ) পচন রোধ করতে
গ) পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতে ঘ) ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য কমাতে।
উত্তর : খ) পচন রোধ করতে।
৮। ডাল জাতীয় খাবার সারা বছর ধরে খাওয়ার জন্য তুমি কী পরামর্শ দিবে?
ক) ভালো করে রোদে শুকিয়ে রাখতে
খ) হিমাগারে রেখে দিতে
গ) পাটের বস্তায় রেখে দিতে
ঘ) মেঝেতে স্তূপ করে রাখতে
উত্তর : ক) ভালো করে রোদে শুকিয়ে রাখতে।
৯) আচার রাখার জন্য একটি পাত্র কিনতে বললে তুমি কেমন পাত্র কিনবে?
ক) ঢাকনাবিহীন খ) বায়ুরোধী
গ) মাটির তৈরি ঘ) বাঁশের তৈরি
উত্তর : খ) বায়ুরোধী
১০। খাদ্য সংরক্ষণের নানা পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে কোনটি প্রাচীন পদ্ধতি?
ক) ফ্রিজে সংরক্ষণ খ) উচ্চতাপে সংরক্ষণ
গ) রোগে শুকিয়ে সংরক্ষণ ঘ) ঠান্ডায় সংরক্ষণ
উত্তর : রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ
১১। দুধ একটি আদর্শ খাদ্য। এটি কোন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায়?
ক) রাসায়নিক পদ্ধতিতে খ) লবণ দেওয়া পদ্ধতিতে
গ) বরফ দেওয়া পদ্ধতিতে ঘ) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে
উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে
১২। খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্যদ্রব্যকে উচ্চ তাপে শুকনো হয়। কোনটিকে এভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
ক) গম খ) সবজি
গ) ফল ঘ) পনির
উত্তর : ক) গম
১৩। বরফ জমানো ঠান্ডায় খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে কোনটি সংরক্ষণ করা হয়?
ক) মুড়ি খ) খই
গ) আমসত্ত্ব ঘ) মাছ
উত্তর : ঘ) মাছ
১৪। বর্ষাকালে শুকানো খাবারের প্রয়োজনে তুমি কিভাবে মুড়ি, খই, আমসত্ত্ব সংরক্ষণ করবে।
ক) তাপমাত্রা কমিয়ে খ) বরফে জমিয়ে
গ) উচ্চ তাপে শুকিয়ে ঘ) টিনের কৌটায় রেখে
উত্তর : গ) উচ্চ তাপে শুকিয়ে।
১৫। লবণ, চিনি, সিরকার মাধ্যমে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। এভাবে কোনটি সংরক্ষণ করা হয়?
ক) মাখন খ) সস
গ) টমেটো ঘ) জলপাই
উত্তর : ঘ) জলপাই
১৬। রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে পাকানো ফল খেলে নিচের কোন রোগটি হতে পারে?
ক) সর্দি জ্বর খ) জল বসন্ত
গ) ক্যান্সার ঘ) যক্ষ্মা
উত্তর : খ) ক্যান্সার
১৭। নিচের কোনটি জাঙ্ক ফুড?
ক) রুটি খ) কোমল পানীয়
গ) আলুর ভর্তা ঘ) পরটা
উত্তর : খ) কোমল পানীয়
১৮। টিনের মাছ মাংস সংরক্ষণ করতে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
ক) অক্সিজেন খ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
গ) নাইট্রোজেন ঘ) জলীয় বাষ্প
উত্তর : গ) নাইট্রোজেন।
১৯। নিচের কোনটি খাদ্যে ভেজাল হিসেবে মেশানো হয়?
ক) আয়োডিন খ) ফরমালিন
গ) ক্যালসিয়াম ঘ) কার্বোহাইড্রেট
উত্তর : খ) ফরমালিন।
২০। বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় কোন খাদ্য দ্রব্যটি?
ক) মাছ খ) আচার
গ) সবজি ঘ) ফল
উত্তর : খ) আচার
খ) প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই :
১। সুষম খাদ্য গ্রহণের দুটি প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর : সুষম খাদ্য গ্রহণের দুটি প্রয়োজনীয়তা নিচে দেওয়া হলোঃ
(i) সুষম খাদ্য শরীর সুস্থ ও সবল রাখে।
(ii) এই খাদ্য শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২। পরিমিত খাদ্য কী?
উত্তর : দেহকে সুস্থ , সবল ও কার্যক্ষম রাখার জন্য পরিমাণ মতো খাদ্যই হলো পরিমিত খাদ্য।
৩। আমরা পরিমিত খাদ্য কেন খাব?
উত্তর : দেহ সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য আমরা পরিমিত খাদ্য খাব।
৪। সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর : যেসব খাদ্যে খাদ্যের সব উপাদান পরিমিত পরিমাণে বিদ্যমান থাকে, তাকে সুষম খাদ্য বলে।
৫। জাঙ্ক ফুড কী
উত্তর : জাঙ্ক ফুড হচ্ছে এক ধরণের কৃত্রিম খাদ্য যাতে চর্বি, লবণ, চিনি ,কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে।
৬। জাঙ্ক ফুডের দুটি ক্ষতিকর দিক উল্লেখ কর।
উত্তর : জাঙ্ক ফুডের দুটি ক্ষতিকর দিক হলো :
(i) এ খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃৎ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
(ii) এ খাদ্য গ্রহণের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
৭। অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর কী সমস্যা হয়!
উত্তর : অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
৮। রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে এমন দুটি খাদ্যের নাম লেখ।
উত্তর : রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয় এমন দুটি খাদ্যের নাম ধান, গম।
৯। ডাল জাতীয় খাবার সারা বছর ধরে খাওয়ার জন্য তুমি কী পরামর্শ দেবে?
উত্তর : ডাল জাতীয় খাবার সারা বছর ধরে খাওয়ার জন্য ভালো করে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণের পরামর্শ দেব।
১০। সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ৫টি বাক্য লেখ।
উত্তর : সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিম্মরূপ :
(i) কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন, যা আমরা সুষম খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি।
(ii) প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়।
(iii) সুষম খাদ্যের অভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
(iv) অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়।
(v) অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজনজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
১১। খাদ্য সংরক্ষণ কী? খাদ্য সংরক্ষণের চারটি উপায় লেখ।
উত্তর : খাদ্য অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করাই হচ্ছে খাদ্য সংরক্ষণ। খাদ্য সংরক্ষণের চারটি উপায় হলো :
(i) রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা।
(ii) ফ্রিজে বা হিমাগারে রেখে সংরক্ষণ করা।
(iii) জাম, জেলি আচার বানিয়ে সংরক্ষণ করা।
(iv) চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে সংরক্ষণ করা।
১২। ছয়টি খাদ্য দল কী কী? খাদ্য সংরক্ষণের ২টি উপায় লেখ।
উত্তর : ছয়টি খাদ্য দল নিম্নরূপ :
(i) খাদ্যশস্য ও আলু- (শর্করা)
(ii)শাকসবজি -(ভিটামিন, খনিজ লবণ)
(iii) ফল-ফুল-(ভিটামিন, খনিজ লবণ)
(iv) মাছ, মাংস ও ডাল-(আমিষ)
(v) দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য -(ক্যালসিয়াম)
(vi) তেল ও চর্বি।
খাদ্য সংরক্ষণের ২টি উপায় হলো :
(i) রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ
(ii) ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ
১৩। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের উপায় ৫টি বাক্য লেখ।
উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের ৫টি উপায় হলো-
(i)খাদ্যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্যদ্রব্যকে উচ্চতাপে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
(ii) উচ্চতাপে জীবাণু ধ্বংস করে বদ্ধ পাত্রে মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
(iii) বরফ জমানো ঠান্ডায় চিংড়ি মাছ, মাংস, মরটরশুটি , গাজর , টমোটো, ঢেঁড়স ইত্যাদি পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
(iv) হিমাগারে দীর্ঘ সময়ের জন্য আলু, পিয়াঁজ, গাজর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয়।
(v) লবণ, চিনি, সিরকা ও তেলের মধ্য পচনকারী জীবাণু জন্মাতে পারে না বলে এসবের মধ্যে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।
১৪। খাদ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব নিচে দেওয়া হলো-
(i) খাদ্যের অপচর রোধ করতে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়।
(ii) খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্যকে দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করা যায়।
(iii) খাদ্য সংরক্ষণ খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জমতে বাধা দেয়।
(iv) খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
(v) খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।