
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক। সারা দেশের প্রায় সাড়ে ১২শ শাখায় বিস্তৃত এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ১৮ হাজারের ওপরে। সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি ব্যাংকিং ইতিহাসে বিরল বলে উল্লেখ করলেন প্রমোশন বৈষম্য নিরসনের সদস্য সচিব মাহবুব সোহেল। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অপচর্চা আর নিয়মনীতির বরখেলাপের কারণে, অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন পদোন্নিত থেকে। বিপরীতে, বহু অযোগ্য কর্মীকেও দেওয়া হয়েছে সেই সুবিধা।
তবে পরিবর্তিত বাস্তবতায়, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে, একযোগে ২ হাজার ১৭৪ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ বিবেচনায় পদোন্নতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে বিরল। জুনিয়র অফিসার থেকে সহকারী মহাব্যবস্থাপক পর্যন্ত এই পদোন্নতি পেয়েছেন কর্মকর্তারা। পদোন্নতির ফলে আনন্দিত কর্মকর্তা ও প্রমোশন বৈষম্য নিরসনের নেতারা।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর এই পদোন্নতি চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এখনো পদবঞ্চিত রয়েছে সেই সকল কর্মকর্তা সোমবার সকালে প্রতিবাদ করেন প্রধান কার্যালয়ে। তাদের অভিযোগ, পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা। দাবি করেন তাদেরও দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন এই ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
প্রমোশন বৈষম্য নিরসনের সদস্য সচিব মাহবুব সোহেল জনকণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দীর্ঘকাল ধরেই সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম খুবই শ্লথ অবস্থায় ছিল। অন্য ব্যাংকগুলোতে পদোন্নতি নিয়মিত ও সঠিক সময়ে হওয়ার নজির থাকলেও সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম সব সময়ই দেরিতে সম্পন্ন হয়। বিগত বছরগুলোতে সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু হতো বছরের মাঝামাঝি ও শেষদিকে।
তাছাড়া অর্গানোগ্রামের কারণে বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী সঠিক সময়ে পদোন্নতি পেতেন না। বিআরসি পরীক্ষার মাধ্যমে একই সঙ্গে অন্য ব্যাংকে যোগদানকারী কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চেয়ে পদোন্নতিতে এক থেকে দুই ধাপ এগিয়ে রয়েছেন। এমনকি বিআরসির নিয়োগের মাধ্যমে নির্ধারিত অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা অন্যান্য ব্যাংকে যোগদান করে সঠিক সময়ে পদোন্নতি লাভ করায় বর্তমানে একাধিক ব্যাংকে এমডি হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু ওই একই ব্যাচে যোগদানকারী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা এখনো জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন। ব্যাংকের পদোন্নতি প্রক্রিয়া ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তাই দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মীর মধ্যে তীব্র বঞ্চনা ও ক্ষোভ ছিল।