
বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে শেষ হলো কমনওয়েলথ ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম
আন্তঃদেশীয় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে ঢাকায় শেষ হলো দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন- কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিনিয়োগ, ব্যাংকিং, প্রযুক্তি, ক্যামেরুনের অর্থনীতি, ওষুধশিল্প ও জনস্বাস্থ্য, এসএমই, সবুজ অর্থায়ন, পর্যটন এবং আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেন নিয়ে নয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সম্মেলনের আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্বোধন করেছেন। সমাপনী দিনে বিভিন্ন অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টোগো সরকারের বিনিয়োগমন্ত্রী রোজ কাই মিভেডোর, টুভালুর উপ-প্রধানমন্ত্রী কিশানা তৌসি, উগান্ডার মন্ত্রী ফ্রান্সিস মিবিসা, বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন।
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অর্থনৈতিক সুফল অর্জনে কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ চান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বিশেষ করে ওষুধ শিল্পে এই সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের পুঁজির প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা আসুন, বিনিয়োগ করুন, আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবসা করুন।
ক্যামেরুনে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা এই সরকারের মেয়াদকালেই ‘লুক আফ্রিকা’ নামে একটা পলিসি আরোপ করেছি যার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নতুন করে আমাদের এম্বাসি খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা খেয়াল করবেন বাংলাদেশ এবং ক্যামেরুনের মধ্যে বিভিন্ন মিল রয়েছে। আমাদের রপ্তানি খুবই অল্প, আমদানি প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো, আমরা এখন সেখানকার ভেইকেলটা ব্যবহার করতে চাই।
আরেকটি আলোচনায়, পেপারলেস আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংক আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গভর্নর বলেন, প্রচলিত ব্যাংকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই করা সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয় অনেকক্ষেত্রে। ডিজিটাল ব্যাংকে ক্রেডিট রেটিং ভার্চুয়াল হবে বলে সেখানে কোনো ঝুঁকি থাকবে না।