ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ্যাক্রিডিটেশন সনদ পাচ্ছে ১৫ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

এ্যাক্রিডিটেশন সনদ পাচ্ছে ১৫ প্রতিষ্ঠান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) থেকে এ্যাক্রিডিটেশন সনদ পেতে যাচ্ছে দেশীয় ও বহুজাতিক ১৫টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সনদ দেবেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রান্ত সচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সনদের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্যাটাগরিতে ইউনাইটেড হসপিটাল এবং ল্যাবএইড হসপিটাল। সরকারী ল্যাবরেটরি ক্যাটাগরিতে বিএসটিআইর ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি, আণবিক শক্তি কমিশন ল্যাবরেটরি, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যাবরেটরি (পদ্মা সেতুর মান নিয়ন্ত্রণকারী ল্যাব)। বহুজাতিক ল্যাবরেটরির ক্যাটাগরিতে এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং তুরস্ক ভিত্তিক টেমাকোস ফ্যাশন ওয়্যার ল্যাবরেটরি। বেসরকারী শিল্পল্যাব ক্যাটাগরির ওয়ালটন বিডি লিমিটেড এবং প্রাণ গ্রুপ ল্যাবরেটরি। এছাড়া দেশীয় আরও কয়েকটি ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান এ্যাক্রিডিটেশন সনদ পাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পণ্য ও সেবা আমদানি কিংবা রফতানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়ে থাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হলো এ্যাক্রিডিটেশন। কোনো পণ্য এ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির সনদপ্রাপ্ত হলে তা বিশ্বব্যাপী অনায়াসে গ্রহণযোগ্য হয়। যে কোন দেশে বিনা বাধায় সে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয়। এ বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের লক্ষ্যে এ্যাক্রিডিটেশন কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় মান অবকাঠামোর আধুনিকায়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। নতুন এসব ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান এ্যাক্রিডিটেশন সনদের মানে উন্নীত হওয়ায় দেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে। এর মাধ্যমে সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ, শ্রমঘন এসএমই খাতের বিকাশ, ভারী ও মৌলিক শিল্পকেন্দ্রিক বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প স্থাপন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের প্রসার, স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর ক্লাস্টার ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের মতো লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
×