অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাইয়ের ফি কমাতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দুটি বেসরকারী ব্যাংকের জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাইকরণ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এই চুক্তির আওতায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক নিয়মিতভাবে তাদের বিদ্যমান ও নতুন গ্রাহকদের পরিচয় পত্র যাচাই করতে পারবে। এতে নতুন গ্রাহকদের কেওয়াইসি নিতে সময়ের সাশ্রয় হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ইউহানেস জাট।
ড. আতিউর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাইয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন দুই টাকা ফি নিয়ে থাকে। কিন্তু আজকের চুক্তির পর থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাইয়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে। ফলে এ ধরনের যাচাইয়ে ব্যাংকের ব্যয় বাড়বে। ব্যাংকগুলো যাতে আরও সাশ্রয়ী হারে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে পারে সে জন্য ফি কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানান গবর্নর।
ব্যাংকিং খাত নিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রূপান্তর করেছি। একইসঙ্গে ব্যাংকিং খাতকেও ডিজিটাইজড করতে গ্রহণ করেছি নানা উদ্যোগ। অল্প সময়ের মধ্যে সিআইবি অনলাইন সেবা, অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ প্রতিষ্ঠা, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক স্থাপন, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ, ইন্টিগ্রেটেড সুপারভিশন সিস্টেম, রিয়্যাল টাইম ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং সিস্টেম, এন্টারপ্রাইজ ডাটা ওয়্যারহাউস, ইআরপি ও কোর ব্যাংকিং সলিউশনের মতো তথ্যপ্রযুক্তিগত উদ্যোগ ব্যাংকিং খাতকে বদলে দিয়েছে। তিনি জানান, আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সকল শাখা কোর ব্যাংকিং সলিউশনের আওতায় আসবে। তখন দেশের ব্যাংকিং খাত সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাইজডের স্বীকৃতি লাভ করবে।