
ছবি: সংগৃহীত
জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীদের চাকরির ওপর তিন গুণ বেশি প্রভাব ফেলতে পারে — এমনটাই বলছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর নতুন এক গবেষণা।
গবেষণায় এআই দ্বারা প্রতিস্থাপন বা রূপান্তরের ঝুঁকিতে থাকা পেশাগুলোর জন্য একটি সূচক তৈরি করা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে, কিভাবে প্রযুক্তির এই দ্রুত উত্থান বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, চারটির মধ্যে একটি চাকরির ওপর এআই-এর প্রভাব পড়বে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চাকরি পুরোপুরি চলে যাওয়ার পরিবর্তে রূপান্তরিত হবে, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনের ঝুঁকিও রয়েছে।
নারীরা কর্মক্ষেত্রে এআই-এর প্রভাব বেশি অনুভব করবেন বলে মনে করা হচ্ছে, যা বিদ্যমান বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিতে পারে — এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, “উচ্চ আয়ভুক্ত দেশগুলোতে স্বয়ংক্রিয়করণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা চাকরি নারীদের মোট চাকরির ৯.৬ শতাংশ। সেখানে পুরুষদের মধ্যে এই হার মাত্র ৩.৫ শতাংশ।”
গবেষণায় পেশাগুলোর ঝুঁকি ‘এক্সপোজার গ্রেডিয়েন্ট’-এ বিভক্ত করা হয়েছে এবং যেসব পেশা সবচেয়ে বেশি ও উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি বলছে, নারীদের চাকরির বড় একটি অংশই এই দুটি শীর্ষ এক্সপোজার গ্রেডিয়েন্টে পড়ে। এর মধ্যে ৫.৭ শতাংশ নারী পেশাকে ‘উল্লেখযোগ্য’ এবং ৪.৭ শতাংশকে ‘সবচেয়ে বেশি’ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আইএলও-এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জ্যানিন বার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই সূচকটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এআই-এর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন এবং শ্রমবাজারকে একটি ন্যায্য ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।”
নারীদের ওপর এআই-এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ নতুন কিছু নয়। গত বছর পরিচালিত একটি জরিপে প্রতি চারজন কর্মীর মধ্যে একজন জানান, তারা আশঙ্কা করছেন এআই-এর কারণে নারীরা কর্মক্ষেত্র থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন।
এছাড়াও, চলতি বছরের শুরুর দিকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় নারীরা এআই-র সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আত্মবিশ্বাসী বা প্রস্তুত বোধ করেন অর্ধেক মাত্রায়। এমনকি কোর্সেরা-এর তথ্যমতে, যারা এআই-সম্পর্কিত দক্ষতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদের এক-তৃতীয়াংশেরও কম নারী।
আবির