
ছবি : জনকণ্ঠ
প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে ঘিরে বসে কোরবানির পশুর হাট। আর কোরবানির হাটে দেখা মিলে বিশাল আকৃতির বাহারি নামের নানা গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে লালচে রঙের বিশালদেহী গরু মানিক বাদশা।
আসন্ন কোরবানির ঈদে ২৫ মণ ওজনের গরুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গরুর মালিক আব্দুল মান্নান দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। মিরসরাই উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়পুর পূর্ব জোয়ার গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল মান্নান গত ৬ বছর ধরে পরম যত্নে বাসগৃহে নিজের সন্তানদের মতো লালন-পালন করছেন 'মানিক বাদশা'কে। এখন 'মানিক বাদশা' বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরু। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সাংসারিক ব্যস্ততার পাশাপাশি শাহীওয়াল জাতের গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেন তিনি। গরুটিকে খাওয়ানো হয় খৈল, ভুষি, নেপিয়ার কাঁচা ঘাস, কলা, কাঁঠালসহ দেশীয় সব খাবার।
গরুর মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি প্রবাস জীবন কাটিয়েছি বেশ কয়েক বছর। এরপর দেশে এসে দীর্ঘদিন গরু লালনপালন করে আসছি। তবে আমার লালিত-পালিত একটি গাভী দৃষ্টিনন্দন একটি বাচ্চা দেয়। জীবনে এই বাচ্চা গরুটিকে আমার এত বেশি পছন্দ হয় যে, শখের বশে আমি বড় করতে থাকি। ছোট থেকে দেখতে খুব মায়াবী হওয়ায় আদর করে বাচ্চাটির নাম রাখি মানিক বাদশা। ৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটি বড় করেছি। গরুটির দাম চাচ্ছি ২০ লাখ টাকা। তবে ক্রেতারা ইতোমধ্যে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। তার পেছনে ব্যয় করতে আমাকে সব পুঁজি ভাঙার পাশাপাশি বড় অংকের ঋণ গ্রহণ করতে হয়েছে। আমি চাই গরুটি এমন দামে বিক্রি হোক যাতে সব ঋণ পরিশোধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় নানা ধরনের খাবার খাইয়ে বড় করা গরুটিকে নিজে না খেয়েও অনেক যত্ন করে লালন পালন করেছি। পরিবারের সবার নজর মানিক বাদশার দিকে। অনেক আশা নিয়েই গরুটি প্রস্তুত করেছি। আশা করি আল্লাহ মনের বাসনা পূর্ণ করবেন। শান্ত স্বভাবের বিশাল আকৃতির গরুটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ভিড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বড় করা এমন গরু দেখে হতবাক অনেক দর্শনার্থী।
সা/ই