
রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তির নানা পরিবর্তনে যাত্রাশিল্প সত্যিই সংকটাপন্ন। কিন্তু এতসবের পরেও এই শিল্পকলার একটি নাম অমর, অক্ষয় এবং বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তিনি প্রয়াত অমলেন্দু বিশ্বাস। যাত্রাসম্রাট হিসেবে যিনি অমরত্ন লাভ করে আছেন। যাত্রাশিল্পের কিংবদন্তি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, আবৃত্তি, সংগীত ও পাঠ্যাভিনয়ের আয়োজন করা হয় রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বিকেলে। অমলেন্দু বিশ্বাস জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের নাট্য ও যাত্রা জগতে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন তাদের পাঁচ জনকে ‘অমলেন্দু বিশ্বাস স্মৃতিপদক ২০২৫’ প্রদান করা হয়। এরা হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আবদুস সেলিম, কবি ও লেখক মুহম্মদ শফি, নাট্যকার ও গবেষক ড. বাবুল বিশ্বাস, যাত্রাভিনেতা ও নির্দেশক এম আলীম এবং যাত্রার নায়িকা ও কণ্ঠশিল্পী পূরবী সরকার। এ ছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় দেশ অপেরা সম্মাননা ২০২৫ প্রদান করা হয় অভিনেতা মো. আলীনূরকে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন লেখক-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মাহবুব আজীজ, রূপান্তরের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উদ্যাপন পরিষদের পরিচালক মিলন কান্তি দে বলেন, অমলেন্দু বিশ্বাসের স্মৃতিকে স্মরণীয় করার লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে আমরা বিশিষ্ট গুণীজন ও যাত্রাশিল্পীদের এ পদক দিয়ে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৫ জনকে দেওয়া হয় এ স্মৃতিপদক। সবশেষে প্রদর্শিত হয় অমলেন্দু বিশ্বাসের জীবনভিত্তিক একক অভিনয়।
প্যানেল