ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাজনীন বেগম

রাজধানীতে এলিভেটেড রিং রোড

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১ আগস্ট ২০১৮

রাজধানীতে এলিভেটেড রিং রোড

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য দেশ পরিচালনায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের অব্যাহত গতিধারায় এগিয়ে চলেছে। আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোতে দেশ যেভাবে সমৃদ্ধির দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে তা যেমন অভাবনীয় তেমনি বিস্ময়কর। সামগ্রিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম নিয়ামক শক্তি সে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা। এখানে কোন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা কিংবা অপ্রয়োজনীয় অপকৌশল দেশকে সঙ্কটাপন্ন করে দিতে সময় নেবে না। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ঔপনিবেশিক ভারতে ব্রিটিশরা যখন যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে রেলপথ তৈরি করে সমাজ সমীক্ষক কার্ল মার্কস তখন ভবিষ্যদ্বাণী করলেন, এই রেলপথই হবে এই উপমহাদেশের আধুনিক শিল্পের অগ্রদূত। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে মার্কসের এই আগাম বার্তা সেভাবে সফল হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়লেও শিল্পের বিকাশ সেভাবে ত্বরান্বিত হয়নি। কারণ অন্য দেশের আধিপত্যে থাকা কোন রাষ্ট্র আপন শক্তিতে যেমন দাঁড়াতে পারে না, তেমনি নতুন নতুন উদ্ভাবনী ব্যবস্থায় আধুনিক শিল্পোন্নত দেশের কাতারেও নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। গোটা উনিশ শতক এবং বিশ শতকের পাঁচ দশক ঔপনিবেশিক অবিভক্ত ভারত সেই দৃষ্টান্তই বহন করে। পরবর্তীতে ’৪৭-এর দেশভাগ আমাদের বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব দৃশ্যমান হয়নি। বরং নতুন ঔপনিবেশিক পাকিস্তানী শাসকচক্রের জালে আটকে পড়া বাঙালীদের ভাগ্যাকাশে উন্নয়ন তো নয়ই, দুর্যোগের ঘনঘটায় আত্মপরিচয়ের ওপরও এসেছিল এক ধরনের ঔদ্ধত্য এবং সীমাহীন দুর্ভোগ। উন্নয়নের আনুষঙ্গিক পূর্ব শর্তই হলো স্বাধীন সার্বভৌম দেশে অধিকার, স্বাধীনতা এবং দেশপ্রেম নিয়ে জাতিকে সমৃদ্ধির দ্বারে পৌঁছে দেয়া। অর্থহীন স্বাধীনতায় উন্নয়নের গতিধারা বার বার বিঘিœত হয়। অধিকারহীনতা মানুষকে স্বাধীন মনোবৃত্তি নিয়ে দাঁড়াতে দেয় না। দেশপ্রেমের আদর্শিক বোধ যদি অন্তর্নিহিত চৈতন্য থেকে উৎসারিত না হয়, তা হলেও দেশ তার প্রত্যাশিত আকাক্সক্ষায় যেতে পারে না। ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ মাত্র সাড়ে তিন বছরের যাত্রায় মুক্ত পরিবেশকে আরও পেছনের দিকে ঠেলে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সবেমাত্র শিশু বাংলাদেশকে তৈরি করার কর্মযজ্ঞে নিজেকে নিবেদন করলেন। আবারও সর্বনাশা রক্তক্ষয় পুরো জাতিকে হতভম্ব করে দেয়। ১৯৭৫-এর পর সেই কলঙ্কময় অধ্যায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হয়ে ‘উন্নয়ন’ নামক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়টিকে অধরাই রেখে দিল। নতুন করে আশির দশকে রাজনীতিতে ফিরে আসাই শুধু নয়, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং সময়োপযোগী নেতৃত্ব সারা বাংলাকে আবার বাঁচার পথ দেখায়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রথম ৫ বছরে দুঃসহ অতীতের সমস্ত অভিশাপ মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। পরের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই নয় সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প আরও তীব্রভাবে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের এক অবর্ণনীয় দুঃসময়। তারই দুঃসহ পরিণতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ে অনির্বাচিত সকারের প্রায়ই দুই বছরের দুঃশাসন। এমন বিপরীত স্রোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিশেহারা হননি, লক্ষ্যচ্যুতের মতো কোন অবাঞ্ছিত পথযাত্রায় নিজেকে শামিলও করেননি। রাজনৈতিকভাবে সমস্ত শত্রুকে মোকাবেলা করার জন্য আবারও নব উদ্যমে দল ও জাতিকে স্বপ্ন দেখালেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামান্যতম আঁচ লাগতে দিলেন না প্রতিপক্ষের। নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করে জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ হলেন শাসন ক্ষমতায় যেতে পারলে উন্নয়নের গতিধারায় জনগোষ্ঠীকে সর্বতোভাবে সম্পৃক্ত করবেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে হওয়া নির্বাচনে শাসক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পর্যাপ্ত রায়ে জনগণের পূর্ণ সমর্থন পেলেন। ২০০৯ সালে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় শুভযাত্রা করলেন। এই পথপরিক্রমায় সাধারণ জনগোষ্ঠীকে দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে ফেলে আসা ৭ বছরের সমস্ত জঞ্জাল পরিষ্কার করাই নয়, দেশকে অগ্রগতির ধারায় এগিয়ে নেয়ার দৃঢ়প্রত্যয়ে অবিচল থাকলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত, তার সঙ্গে জঙ্গী উন্মাদনা তৈরি হয় তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম। যে অশুভ, অপকৌশল দেশকে সমৃদ্ধির আলো দেখানো তো পরের কথা, বিদ্যমান সঙ্কট, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় এবং নীতিবহির্ভূত প্রক্রিয়াকে যেভাবে উস্কে দেয়। সেটারই অনিবার্য পরিণতি ছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অশুভ পদচারণা। খালেদা ও তারেক জিয়ার সীমাহীন দুঃশাসনে দেশবাসী সে সময় সন্ত্রস্ত দিশেহারাই শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক বোধ ও মর্যাদা হারানোর দুরাবস্থায় পড়ে। ২০০৮ সাল থেকে শেখ হাসিনা তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, শাসনকার্য পরিচালনায় অসম সাহস, দেশাত্মবোধের অনমনীয় বোধ সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে অগ্রগতির লড়াইয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করলেন। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দেশকে সমৃদ্ধির সোপানে পৌঁছাতে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সূচকের সঙ্গে জোরালোভাবে সংযুক্ত করলেন অবকাঠামোর আধুনিকায়ন এবং সময়ের দুর্বার মিছিলে এর সময়োপযোগী আবেদন। গ্রামনির্ভর বাংলাদেশ আজও কৃষি অর্থনীতিকে নিয়ামক শক্তি বিবেচনায় উন্নয়নের এই সমৃদ্ধ খাতকে নিরন্তর বেগবান করে যাচ্ছে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি এবং শিল্পোদ্যোক্তা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নদী বিধৌত বাংলার নরম, উর্বর পলি মাটি শস্য উৎপাদনে যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে আসছে সেখানে প্রান্তিক চাষীদের যুগান্তকারী অবদান অবিস্মরণীয়। আর নদী, হ্রদ, দীঘি, পুকুর, নালা পরিবেষ্টিত বাংলার জলজ প্রকৃতি হরেক রকম মাছের প্রজাতির সম্ভারে যে সম্ভাবনাময় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে, তাও বাংলাদেশের এক অপূরণীয় সম্পদ। এখানেও মাছ চাষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। যে মৎস্য সম্পদ আজ আন্তর্জাতিক বাজারেও তার সক্ষমতাকে প্রমাণ করেছে। আর এই অবস্থানে বাংলার মাছ চলে গেছে সারা বিশ্বে তৃতীয়তম জায়গায়। শুধু তাই নয় সবজি উৎপাদনেও বাংলাদেশ বিশ্ব সীমানায়। সেখানেও এর জায়গা তৃতীয়। এসব কৃষিজাত পণ্যের বাজারজাত এবং আন্তর্জাতিক কারণে অবকাঠামোর যে যুগান্তকারী ভূমিকা, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। উন্নত এবং আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যতিরেকে গ্রামবাংলার দূর-দূরান্তের ফসল সারাদেশে পৌঁছে দেয়া যেমন অসম্ভব একইভাবে আন্তর্জাতিক বলয়েও তার অভিগমন সহজসাধ্য নয়। গ্রামবাংলার চাষাবাদ ব্যবস্থায় যেমন প্রকৃতির অফুরন্ত দান আছে, পাশাপাশি তাকে সবাইর উপযোগী ফসলে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেক দায়বদ্ধতাও থাকে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণ থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ পরবর্তীতে সেটাকে ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনায় মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেয়া ছাড়া এর সুফল কেউ ভোগ করতে পারবে না। বাংলার নদী¯œাত শ্যামল প্রকৃতির অবারিত দানের সঙ্গে কৃষকদের শ্রমশক্তির সফল বিনিয়োগ আরও জোরালোভাবে তাকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্তকরণে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে উদ্যোগ তাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। সুতরাং আধুনিক ব্যবসাবাণিজ্যে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার বিকল্প কিছু হতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও জনবান্ধব করতে শেখ হাসিনার সফল এবং প্রয়োজনীয় ভূমিকা বাংলার সামগ্রিক অর্থনীতিকে যেভাবে সমৃদ্ধি ও গণমানুষের নিকটবর্তী করে দিয়েছে, তা আজ সবার সামনে উন্মোচিত, দিবালোকের মতোই দৃশ্যমান। পুরো বাংলাদেশকে এক নজরে অবলোকন করলে বোঝা যায় প্রতিটি জেলা-উপজেলার সড়ক-মহাসড়কের ক্রমবর্ধমান আধুনিকায়ন সত্যিই দৃষ্টি কাড়ার মতো। পদ্মা সেতুকে নিয়ে হরেক রকম অপবাদ, কেলেঙ্কারিকে সামলে দেশের অর্থায়নে তাকে বিনির্মাণের শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসা, সেও এক বিস্ময়কর মহাপরিকল্পনা। একই ধারাবাহিকতায় ঢাকা শহরকেও তিনি আধুনিক উন্নত রাজধানীর মর্যাদায় নতুন করে সাজাতে চান। সেই লক্ষ্যে তাঁর সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কের উন্নততর শোভাবর্ধনই শুধু নয়, উড়াল সেতু তৈরির প্রকল্পও তাঁকে ধীর-স্থির মাথায় ভাবতে হয়েছে। শুধুমাত্র সড়ক ব্যবস্থার মনোন্নয়নই নয়, ঢাকার সবচেয়ে অসহনীয় অবস্থা যানজট কমানোরও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বাড্ডা ইউলুপ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে অভিমত প্রকাশ করেন, এলিভেটেড রিং রোড করে ঢাকায় যানবাহন চলাচলের ভিন্ন মাত্রার সড়ক সংযুক্ত করা হবে। গাড়ি তখন রাস্তার ওপর দিয়ে চলবে রিং রোড ব্যবহার করে। তাতে তীব্র যানজটের সুরাহা তো হবেই, জনগণের ভোগান্তি কমবে সঙ্গে রাজধানীকে আধুনিক নগরী তৈরিতে দীর্ঘ মেয়াদী ভূমিকা রাখবে। গৃহায়ন এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রাজউকের যৌথ অর্থায়ন বাড্ডা ইউলুপ তৈরিতে বিশাল ভূমিকা রাখে। নির্মাণ শৈলীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। বিজয় সরণি, জিল্লুর রহমান সড়ক, হানিফ উড়াল সেতুর ওপর যানবাহন ইতোমধ্যে চলতে শুরু করেছে। যা জনদুর্ভোগ থেকে আরম্ভ করে যানজটের মতো উদ্ভূত পরিস্থিতিকেও সামাল দিচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি স্বচ্ছ, স্বাভাবিক এবং অপ্রতিহত না হয়, তা হলে উন্নতমানের কর্মপ্রবাহ এবং প্রতিদিনের জীবন সুস্থ ও অবারিত হবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও যুগোপযোগী করতে মেট্রোরেল থেকে আরম্ভ করে রেলপথের সহযোগী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও সরকার হাতে নিয়েছে। রেল শুধু মাটির ওপরই নয় পাতালেও এর চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজধানীর সঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলা এবং উপজেলার সড়ক পরিবহনে যে পরিমাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, তাতে অনেক কম সময়ে ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া করেও কর্মপ্রক্রিয়া চালানো যাবে। ঢাকাকে রিং রোড করার পাশাপাশি ঢাকার আশপাশে ছোট ছোট শহরও গড়ে তোলা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসব শহরে বহুতল ভবনসহ মানুষের প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। উন্নয়নের সমস্ত সূচকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় ভূমিকা দেশকে যেমন সমৃদ্ধির শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সেই সুফল ভোগ করে নিজেদের অগ্রগতির অংশীদার করছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বহুবিধ কর্মপ্রকল্প একেবারে জনঘনিষ্ঠ। জনগণকে বাদ দিয়ে কোন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার মাধ্যমে আসতে পারেনি। জনদরদী এবং দেশপ্রেমিক এই সরকারপ্রধান দেশ ও সাধারণ মানুষকে যেভাবে সবার ওপরে স্থান দেন, ঠিক সেভাবেই তিনি তার সমস্ত উন্নয়ন অভিযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। দলের প্রতি সর্বাধিক দায়বদ্ধতা পালন করেও দেশ পরিচালনা এবং উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে তিনি সব কিছুর উর্ধে উঠতে পারেন। আর এই সমৃদ্ধ চেতনায় বার বার নিজেকে শাণিত করেছেন। দেশ আর জনগণের কল্যাণ সাধনায় যা যা করণীয়, সেসব করতে তাঁকে কখনও দ্বিতীয়বার ভাবতে হয় না। আগামীতেও দৃপ্ত পদচারণায় তিনি অনুক্ষণ জনগণের কাতারেই থাকবেন। লেখক : সাংবাদিক
×