ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে বিখ্যাত যিনি

প্রকাশিত: ০৩:২০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে বিখ্যাত যিনি

আগ্নেয়গিরি আর বরফের দেশ আইসল্যান্ড। ২০১০ সালে সেখানকার একটি আগ্নেয়গিরির কারণে প্রায় পুরো ইউরোপেই বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঐ আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে তখন ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন এক ফটোগ্রাফার। তাঁর নাম র‌্যাগনার সিগুর্ডসন। তিনি বলেন, ‘যতটা সম্ভব অগ্ন্যুৎপাতের কাছে গিয়ে ছবি তোলার বিষয়টি বেশ উত্তেজনার। তবে এভাবে ছবি তুলতে আপনাকে খুবই সৃজনশীল হতে হবে, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।’ কোন আগ্নেয়গিরির জীবন্ত হয়ে ওঠা পছন্দ করেন র‌্যাগনার। যতটা সম্ভব তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেটা গাড়ি নিয়ে হোক, কিংবা ছোট্ট প্লেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। ছুটে আসা লাভার কয়েক সেন্টিমিটারের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। কারণ, তখন লাভা খুব ধীরে সামনে এগোচ্ছিল। ফলে কাছে যাওয়াটা নিরাপদ মনে করেছিলাম। তারপরও অবশ্য ভয় পেয়েছিলাম। তাই বেশ জোরে দৌড় দিয়েছিলাম।’ আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত এইয়াফিয়াদলা আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে প্রথম পরিচিতি পান র‌্যাগনার। অনেক ধৈর্য নিয়ে ঐ আগ্নেয়গিরির প্রায় দশ হাজার ছবি তুলেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সিগুর্ডসন বলেন, ‘অপেক্ষা, অপেক্ষা, একটা কিছু ঘটবে তার জন্য অপেক্ষা। অগ্ন্যুৎপাত দেখার জন্য কয়েকদিন প্রতি মহূর্তেই অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল। কারণ আগ্নেয়গিরির মুখটি ছিল ১৪০০ মিটার উঁচুতে, আর মেঘ ছিল এক হাজার মিটার উঁচুতে। তাছাড়া চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল।’ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে র‌্যাগনার প্রকৃতির ছবি তুলছেন। গ্রিনল্যান্ড থেকে শুরু করে নরওয়ে, উত্তর মেরু- এ সব এলাকায় ছবি তোলেন তিনি। তবে আগুন আর বরফের দেশ বলে পরিচিত তাঁর মাতৃভূমি আইসল্যান্ডের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্যান্য এলাকায় খুব কমই আছে। ১৩০টির মতো আগ্নেয়গিরি ও উষ্ণ প্রসবণ আছে আইসল্যান্ডে। তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা নেশার মতো। আমার মনে হয় আইসল্যান্ডের আমরা সবাই অগ্ন্যুৎপাত পছন্দ করি। তবে কখনও কখনও এটা বিপজ্জনক হতে পারে, প্রাণনাশকও হতে পারে। অবশ্য ভাগ্য ভাল যে, গত কয়েক দশকে আমাদের এখানে শুধু হালকা অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, যা পর্যটকরা পছন্দ করে।’ ছবি তুলতে সবসময় নতুন প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করেন র‌্যাগনার। যেমন এখন ড্রোন দিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সবসময় ‘কিলার শট’-এর খোঁজে থাকেন তিনি। র‌্যাগনার সিগুর্ডসন সবসময় তাঁর প্রিয় কাজের অপেক্ষায় থাকেন। আইসল্যান্ডে পরবর্তী অগ্ন্যুৎপাত নিশ্চয় ঘটবে হতে পারে সেটি মাত্র কয়েক মিনিটের নোটিসে। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×