ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়কেতু বড়ুয়া

অমার্জনীয় অপরাধ

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অমার্জনীয় অপরাধ

আমরা সৌভাগ্যবান ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের দেশে সারা বছর পানি পাওয়া যায়। মরু অঞ্চল, তুষারাবৃত অঞ্চল এবং পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ বহু কষ্ট করে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে। খাওয়ার পানি ছাড়াও কাপড় চোপড় ঘর দুয়ার ধোয়া মোছা এবং বোরো আমন চাষের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। ব্রিটিশ আমলে বড় বড় পুকুর কেটে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হতো এবং লোকজনের পানির চাহিদা মেটাতো। পরবর্তীকালে টিউবওয়েলের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি উঠায়ে মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। ইদানীং বড় বড় শহরে ওয়াসার মাধ্যমে নদী ও সমুদ্রের পানি যন্ত্রের সাহায্যে বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর নিচে নেমে যাচ্ছে। ৪/৫ বছরের মধ্যে টিউবওয়েলের পাইপ নিচে নামাতে হয় এক সময় অকেজো হয়ে যায়। ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েনটিস্টের পক্ষ থেকে খোলা চিঠিতে জানানো হয় গত ২৫ বছরে সারা পৃথিবীতে পানযোগ্য পানির পরিমাণ ২৬ শতাংশ কমেছে। তাই কোন অবস্থাতেই কলের মুখ খুলে ধোয়া মোছা করা যাবে না। মনে রাখতে হবে পানি খুবই মূল্যবান পদার্থ। গ্যাসের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। জ্বালানি হিসেবে গ্যাস অতি উপযোগী পদার্থ। শিল্প কল কারখানা বিদ্যুত উৎপাদন গাড়ির জ্বালানি হিসেবে গ্যাস অত্যন্ত উপযোগী। আবাসিক রান্নাবান্নার কাজ তো আছেই। গ্যাসের চাহিদা এখনই দৈনিক ৩৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট আর সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ২৭০০ মি. ঘনফুট। এখনই শর্ট পড়ছে ১০০০ মি. ঘনফুট। গ্যাসের অভাবে সার কারখানা বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ভোলায় একটা ছাড়া বাপেক্স আর কোথাও নতুন করে গ্যাসের মজুদ পাচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে গ্যাসের মজুদ শেষ হয়ে গেলে আবাসিক চুল্লীতে গ্যাস পাওয়া যাবে না। রান্না এক বেলায় শেষ করা উচিত আর গ্যাসের চুলা কোন অবস্থাতেই ১ মিনিট অতিরিক্তও জ্বালিয়ে রাখা ঠিক নয়। হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×