ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটকে হারাতে ঘাম ঝরাল কুমিল্লা

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

সিলেটকে হারাতে ঘাম ঝরাল কুমিল্লা

মোঃ মামুন রশীদ ॥ অষ্টম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরের প্রথম দিন এতটা কষ্ট হয়নি ব্যাটারদের। প্রথম ম্যাচে রান খুব বেশি না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হয়েছে হাই-স্কোরিং। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চিরাচরিত চেহারা ফুটে উঠেছে শনিবার দ্বিতীয় দিনেই। এদিন প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচে হয়নি ১০০ রানও! সিলেট ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ঘাম ছুটেছে শক্তিশালী কুমিল্লার। হারতে হারতে ৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট খুঁইয়ে ৯৭ রান তুলে স্বস্তির জয় পায় ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ২ উইকেটের জয়ে এবার বিপিএলে শুভ সূচনাই হলো অন্যতম ফেবারিটদের। দল গঠনের বিবেচনায় সিলেটের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী কুমিল্লা। তাছাড়া এবার বিপিএলের অন্যতম বড় তারকা হিসেবে বিবেচিত দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিসকে দলে ভিড়িয়ে চমক দিয়েছে তৃতীয় ও ষষ্ঠ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। দুদল এবার বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় শনিবার দুপুরে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। দলীয় ৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন এনামুল হক বিজয় (৩)। কুমিল্লার দুই স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম চেপে ধরেন সিলেট ব্যাটারদের। উইল জ্যাকস একাই লড়ছিলেন। মোহাম্মদ মিঠুন (৫), অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন (৩), অলক কাপালি (৬), মুক্তার আলী (০), কেসরিক উইলিয়ামস (৯), তাসকিন আহমেদ (২) দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন দুই অঙ্কেও পৌঁছুতে না পেরে। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও ডানহাতি পেসার শহিদুল ইসলাম ছিলেন পরের দিকে দারুণ মিতব্যয়ী। ব্যতিক্রম ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রাম, তিনি ২১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেন। এছাড়া অভিজ্ঞ রবি বোপারা ১৯ বলে ১ চারে ১৭ রান করতে পেরেছেন। তবু ১৯.১ ওভারে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস। টি২০ ম্যাচে ৬৮ বলে কোন রানই করতে পারেননি সিলেটের ব্যাটাররা। তানভীর ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ১ উইকেট নেন। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৫, নাহিদুল ৪ ওভারে ২০ ও শহিদুল ৩.১ ওভারে ১৫ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি করে উইকেট। এরপর প্রথম থেকেই কুমিল্লার ব্যাটারদের চাপে রাখে সিলেটের বোলাররা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আলোচিত প্লেসিস ৭ বলে মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর সতর্ক হয়ে ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও মুমিনুল হক ব্যাট চালিয়েছেন। কিন্তু ডেলপোর্ট (১৯ বলে ১৬) আউট হওয়ার পর মড়ক লাগে। একে একে ফিরে যান মুমিনুল (২০ বলে ১৫), অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১০) ও আরিফুল হক (৪)। তবে নাহিদুলের ১৬ বলে ১ ছয়ে ১৬ ও করিম জানাতের ১৩ বলে ২ চারে করা ১৮ রানে অভীষ্ট লক্ষ্যের কাছে চলে যায় কুমিল্লা। কিন্তু এ দুজনের বিদায়ে ম্যাচে ফেরে সিলেট। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে শহিদুল ১ রানে সাজঘরে ফেরার পর জমে ওঠে ম্যাচ। তখনও ৯ রান প্রয়োজন জিততে, কিন্তু হাতে বাকি ২ উইকেট। তবে দারুণ সতর্ক হয়ে খেলে আর বিপদ হতে দেননি উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (অপরাজিত ৯) ও তানভীর (৩*)। ১৮.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৯৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলে কুমিল্লা। মোসাদ্দেক ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ২টি ও নাজমুল ইসলাম অপু ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। স্কোর ॥ সিলেট সানরাইজার্স ইনিংস- ৯৬/১০; ১৯.১ ওভার (ইনগ্রাম ২০, বোপারা ১৭, সোহাগ ১২; মুস্তাফিজ ২/১৫, শহিদুল ২/১৫, নাহিদুল ২/২০)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনিংস- ৯৭/৮; ১৮.৪ ওভার (করিম ১৮, নাহিদুল ১৬, ডেলপোর্ট ১৬; নাজমুল ৩/১৭, মোসাদ্দেক ২/১০, সোহাগ ২/৩০)। ফল ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাহিদুল ইসলাম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।
×