ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তর

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১৬ অক্টোবর ২০২১

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তর

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার/সংবাদদাতা, উখিয়া ॥ রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মো: মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দিয়ে রাখলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল তার পরিবারের সদস্যরা। ফলে মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ ৯ পরিবারকে অন্যত্র একটি সেন্টারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের এ নেতার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা করার পর থেকে তার ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ, স্ত্রী নাসিমা খাতুনসহ স্বজনদের অপরিচিত নম্বর থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, এসব হুমকির ঘটনা কেন এবং কারা ঘটাচ্ছে- তা নিয়ে কাজ করছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পের ভেতরে একটি সেন্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি এমন নয় যে, অনিরাপত্তার কারণে তাদের সরানো হয়েছে। মূলত মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তাদের সরিয়ে রাখা হয়। যেহেতু ক্রাইম সিন এলাকায় লোকজন যাওয়া আসা করা নিষিদ্ধ। তাদের সেখানে আমরা পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। এর আগে উখিয়া লম্বাশিয়া ক্যাম্প ইস্ট-১ এ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) অফিসের কার্যালয় লাগোয়া এবং আশপাশে বসতি ছিল পরিবারগুলোর। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা গুলি করে হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে। নিরাপত্তার কারণে পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এআরএসপিএইচের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নারী নেত্রী জামালিদা বেগম বলেন, শুক্রবার থেকে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ বেশকিছু পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে রাখা হয়েছে বলে শুনেছি। তারা এখানে থাকা অবস্থায় সব সময় ভয়ভীতির মধ্যে ছিল। মুহিবুল্লাহর ভাগিনা এবং এআরএসপিএইচের মুখপাত্র মো: রশিদ উল্লাহ বলেন, মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ আমার স্বজনদের এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। পরদিন আরও কয়েক পরিবারকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে জায়গা পরিচিত হলেও জায়গার নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না। আগের জায়গা থেকে আমরা এখানে ভাল আছি বলে জানান তিনি।
×