ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে স্পীকার

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন

প্রকাশিত: ২২:০৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণতন্ত্র ও জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণতন্ত্রের সংগ্রাম থেকে দেশকে উন্নয়নের সোপানে তুলে এনেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশে^র কাছে বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছে। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই তাঁর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। একসময় বাংলাদেশ বন্যাকবলিত ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল; সেই দেশই এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর অসহনীয় সেই সংগ্রামের কাহিনী নতুন প্রজন্ম জানে না। তরুণ প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা যেমন জানাতে হবে, পাশাপািশ স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাহিনীও নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। এসব কথা বলেছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত ১২ বছরে তাঁর অবদান ও অর্জন নিয়ে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। রবিবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে ‘বাংলাদেশ : উন্নয়নের এক যুগ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্পীকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত। স্পীকার বলেন, দেশকে যে ভিতের ওপর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার জন্য অনেক দুঃসহ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। দলকে গঠন করেছেন, সেই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় এসে দেশ গড়ার ভিতও রচনা করেছেন। সোনার বাংলা গড়ার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করে চলেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেশে আসা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন বাঁক। বাংলার মানুষ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, যা থেকে তার পথচলা। সেখান থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান অনুযায়ী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সত্যি বিস্ময়কর। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, শেখ হাসিনার সামগ্রিক জীবন হচ্ছে সংগ্রাম ও দেশ গড়ার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্য করার পর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে পুনর্গঠন ও ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের নবযাত্রার সূচনা করেন। তিনি দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন। আজকের এ প্রদর্শনী প্রধানমন্ত্রীর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই ও দেশগড়ার সাফল্যকে মেলে ধরেছে। কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন বলেন, কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশকে কানাডা সবসময় বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে আরও এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ সম্পর্কে, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এবং তাঁর পরিবার সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রদর্শনীটি মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
×