ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জীবনচিত্রের ওপর অনলাইন প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৩০ জুন ২০২০

রোহিঙ্গাদের জীবনচিত্রের ওপর অনলাইন প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিটি আলোকচিত্রে উঠে এসেছে স্বভূমি থেকে বিতাড়িত মানুষের জীবনের দুর্দশা। শিশুর চোখে ভাসছে বেদনার জল। আবার কোন ছবিতে প্রকাশিত হয়েছে গৃহহীন মানুষের একটুখানি ঠাঁই পাওয়ার আশা। কারও অভিব্যক্তিতে দৃশ্যমান হয়েছে মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার ভীতি। বলপূর্বক রাষ্ট্রচ্যুত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী জীবনের এমন নানা ছবিতে সাজানো হয়েছে ভার্চুয়াল প্রদর্শনী। আলোকচিত্রের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তৈরি সূচিকর্মেরও দেখা মিলছে এই আয়োজনে। আছে রাষ্ট্রহীন এসব মানুষের রং-তুলির আঁচড়মাতা চিত্রকর্ম। শুধু কি তাই? তাদের তৈরি শিল্পকর্ম থেকে হস্তশিল্পও মেলে ধরা প্রদর্শনীতে। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে সোমবার থেকে রোহিঙ্গা জীবনচিত্রের আলোকে এই অনলাইন প্রদর্শনীর সূচনা হয়। অনলাইন প্রদর্শনীটি দেখা যাবে এই লিংকে https:/www.threadexhibit.com। আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড এ্যান্ড জাস্টিসের স্বেচ্ছাকর্মীদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সমস্যা ও তার সমাধানের গুরুত্ব মেলে ধরতে একটি অনলাইন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্বজনীন সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্টারএ্যাকটিভ এই প্রদর্শনী। সোমবার সকালে অনলাইন এ্যাপ জুম লিংকের মাধ্যমে প্রদর্শনী উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলীর সঙ্গে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন কোরলিস ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাকিবুল আমিন। অনুষ্ঠানে হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনের স্বেচ্ছাকর্মী র‌্যাচেল চুয়াং-এর ভিডিও-বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আরেক ট্রাস্টি ও সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড এ্যান্ড জাস্টিসের (সিএসজিজে) পরিচালক মফিদুল হক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মফিদুল হক বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা শরণার্থী দিবস উদ্যাপন করছি। সেই সঙ্গে অনেক দুঃখজনক ঘটনা চলে আসছে আমাদের সামনে। নিপীড়নের শিকার রাষ্ট্রহীন হওয়া জনগোষ্ঠীর জীবনের সঙ্কট জড়িয়ে আছে এই অধ্যায়ে। তবে এই শরণার্থীদের নিজ ভূমে ফিরে যাওয়ার অধিকার আদায়ের যুদ্ধ আমরা অব্যাহত রাখব। এভাবেই তাদের পাশে থেকে গাইতে হবে মানবতার জয়গান। আর এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা সেই মানবিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। অন্য বক্তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সমস্যা ও তার সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এই প্রদর্শনী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বিশ্বজনীন সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রসারে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
×