ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লাইলাতুল কদর পালিত

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২১ মে ২০২০

লাইলাতুল কদর পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাপমোচন, অতীতের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা, অনুতাপ ও মহান আল্লাহ তা’য়ালার রহমত লাভের আশায় রাতভর ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। রাজধানীসহ সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমারা এ রাতে আল্লাহর ধ্যানে মশগুল ছিলেন। করোনার কারণে ঘরে বসেই মুসল্লিরা যে যার মতো ইবাদত-বন্দেগি করে রাত অতিবাহিত করেন। তবে মসজিদসহ দেশের কোথাও সমন্বিতভাবে ইবাদত পালনের কোন কর্মসূচী ছিল না। বুধবার দিবাগত রাত ছিল পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাত। কোরান শরীফে এ রাতকে মহিমান্বিত রাত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ রাতে ইবাদত করলে এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে পবিত্র এ রাতটিকে যথাযথ মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় মুসল্লিরা ঘরে বসেই রাতভর কোরান তেলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির আসকার ও নফল ইবাদতে মসগুল ছিলেন। তবে এই রাতে প্রতি বছর রাজধানীসহ দেশের সব মসজিদে ইবাদত পালনের কর্মসূচী থাকলেও এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ দেশের অন্য মসজিদগুলোতে রাতভর ইবাদত-বন্দেগির কোন কর্মসূচী নেয়া হয়নি করোনার কারণে। বুধবার সূর্যাস্তের পরপরই শুরু হয় শব-ই-কদরের ফজিলত। তা চলতে থাকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত। এ রাতে আল্লাহ তা’য়ালা নিকটতম আসমানে অবস্থান করেন। এ রাতে যারা ইবাদত-বন্দেগি করবে তাদের গুনাহ মাফের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কোরান নাজিলের মাস হিসেবে রমজান যেমন বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত, তেমনি কোরান নাজিলের কারণেই শব-ই-কদর অতি ফজিলত ও তাৎপর্য বহন করে। তাই বুধবার দিনগত রাতে তারাবির নামাজের পর থেকে শুরু হয় ইবাদত-বন্দেগি। তা সেহরি খাওয়ার আগ পর্যন্ত চলে। শেষ রাতে সবাই ব্যক্তিগতভাবে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে শেষ করেন পবিত্র লাইলাতুল কদরের আনুষ্ঠানিকতা।
×