ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এসএমই খাতে বিশেষ ঋণ পেতে সহায়তা করবে এফবিসিসিআই

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১৯ মে ২০২০

এসএমই খাতে বিশেষ ঋণ পেতে সহায়তা করবে এফবিসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার ঘোষতি ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ব্যবসায়ীদের বিশেষ ঋণ পেতে এফবিসিসিআই সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশেন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপিত শেখ ফজলে ফাহিম। মঙ্গলবার করোনা ভাইরাস চলাকালে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান। শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন সেক্টরে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নতুন উদ্যোক্তারা। ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল তারা অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশকে সরকারের সার্কুলার অনুযায়ী এসএমই খাতের সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলবেন এবং প্রয়োজনে এফবিসিসিআই-এর চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সহযোগিতা নেবেন। কিন্তু এখনো আমরা দৃৃশ্যমান ফলপ্রসূ কোনো পদক্ষপে লক্ষ্য করছি না। ‘ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়গুলো এখনো কোনো হেল্প ডেস্ক চালু করেনি এবং শাখাগুলোকেও কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা দেয়নি। এই অসহযোগিতার বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেওয়ার পরও আশানুরূপ কাজ হচ্ছে না। আমার মনে হয় ব্যাংকগুলো এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসবে এবং খুব তাড়তাড়ি এর সমাধান হবে।’ নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বর্তমানে না খেয়ে আছে। তাদের দুঃখ-কষ্টের দিকে এখন নজর দেওয়া উচিত। সরকারের দেওয়া ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ওপর ভরসা করে বসে থাকলে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা না খেয়ে মারা যাবে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন নেতারা বলেন, বর্তমানে এই খাতের পণ্যসমূহের জন্য ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যাট ও ট্যাক্স বন্ধ করতে হবে। কারণ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। এছাড়া এই খাতের জন্য ১০ বছর কিংবা ৫ বছরের জন্য সরকারের একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা প্রয়োজন, যাতে কাঁচামালের ওপর যেকোনো সময় ট্যাক্স বাড়াতে না পারে। এছাড়াও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতটি পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ মেটাল প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুবাইর এ জামান, বাংলাদেশ মেটাল ওয়্যার অ্যান্ড ওয়্যারেনেইলস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল আলম খান, বাংলাদেশ সাব-কন্ট্রাক্টিং শিল্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসলাম আলী, ফাউন্ড্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুল মালেক, ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি মির্জা নজরুল গণী শোভন, বাংলাদেশ অটোমোবাইলস ওর্য়াকশপ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ রহমান, বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ এবং স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আলী জামান। এর আগে বিভিন্ন জেলার নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে উইমেন চেম্বারের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় করেন শেখ ফজলে ফাহিম। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট স্বর্ণলতা রায়, চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী, বরিশাল উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজর প্রেসিডেন্ট অপু আক্তার, রংপুর উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজর প্রেসিডেন্ট আনোয়ারা ফেরদৌস, কিশোরগঞ্জ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ফাতেমা জোহরা আক্তার, শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মনিজা মাসুদ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজর নেতা হাসিনা নেওয়াজ ও রসন্তি নাজনীন।
×