ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে প্রথম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২৫ আগস্ট ২০১৯

 নীলফামারীতে প্রথম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ স্কুল ছুটির পর নিখোঁজ পাঁচ বছরের শিশু সাবেদ হোসেন নামের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ। শরীরে আঘাতের চিহৃ অবস্থায় আজ রবিবার সকাল ১০টায় ডিমলা উপজেলার পচারহাট ব্যাঙ্গেরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর হতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি উক্ত স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র। তার রোল-১৩। শিশুটি ডিমলা সদর ইউনিয়নের পচারহাট গ্রামের আব্দুস সালামের সন্তান। পুলিশ সহ অনেকে ধারনা করা হচ্ছে সু-পরিকল্পিত ভাবে শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার পর দৃর্বত্ত্বরা স্কুল সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। জানা যায়, প্রাইভেট গাড়ি চালক আব্দুস সালাম তার স্ত্রী রুনা বেগম ও দশ বছরের মেয়ে শরিফা আক্তার সহ ঢাকায় থাকত। আর তাদের ৫ বছরের ছোট ছেলে সাবেদ হোসেন একই এলাকার নানা হামিদুল ইসলামের বাড়ীতে থেকেই ওই স্কুলে লিখাপড়া করতো। গতকাল শনিবার সকালে সাবেদ স্কুলে আসলেও দুপুর ১২টায় স্কুল ছুটির পর আর নানার বাড়িতে ফিরেনি। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে শিশুটির নানা হামিদুল মোবাইলে ঢাকায় বসবাসরত মেয়ে জামাইকে বিষয়টি অবহত করে। খবর পেয়ে তারা গতকাল শনিবার রাতের বাসে উঠে আজ রবিবার সকালে এলাকায় চলে আসে। এদিন সকালে উক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ সহ পুলিশের একটি টিম। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুকুর হতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাতে শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহৃ সহ তার ডানটি ভাঙ্গা ছিল। এদিন দুপুরের পর জেলা মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়। শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলেকে এলাকার কেউ সু-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও ডান হাটটি ভেঙ্গে দিয়েছে। হত্যার আগে ছেলের উপর যে শারিরিক নির্যাতন চালানো হয় তা স্পস্ট। আমি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসী চাই। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান এ ঘটনায় শিশুটির বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
×