ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় গণভোট দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

দ্বিতীয় গণভোট দাবি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রেক্সিট ডিল নিয়ে নতুন করে চাপে মুখে পড়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, আমরা তার ডিল পার্লামেন্ট সম্পূর্ণভাবে পাস করিয়ে আনতে পারি। এরপর ব্রেক্সিট ডিল নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। সরকারকে দ্বিতীয় গণভোট দিতে বাধ্য করতে তারা চাইলে কর আদায়ে প্রতিবন্ধকতা আরোপ করতে পারে। ইন্ডেপেন্ডেন্ট। প্রভাবশালী টোরি বিদ্রোহী এমপি নতুন একটি পরিকল্পনায় সায় দিয়েছেন। এতে নো ডিল ব্রেক্সিটের পথে না গিয়ে এ বিষয়ে জনসাধারণকে দ্বিতীয়বার মতো প্রকাশের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি একটি বিকল্প পরিকল্পনা, আগামী মার্চের মধ্যে পার্লামেন্টে মে’র ব্রেক্সিট ডিল পাস না হলে তখন এই পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। বেস্ট ফর ব্রিটেন নামে একটি ক্যাম্পেন গ্রুপ পরিকল্পনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ৮ জানুয়ারি যখন অনুমোদনের জন্য কমন্স সভায় পাঠানো হবে তখন এতে ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের দাবির প্রসঙ্গটি তারা জুড়ে দিতে পারেন। পার্লামেন্টে এ বিষয়ে যথেষ্ট সংখ্যক এমপি পাওয়া না গেলে ব্রেক্সিট ডিল বিরোধীদের নিয়ে কর আদায় ব্যবস্থা আটকানোর উদ্যোগ নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট ডিলটি পার্লামেন্টে পাস না হলেই কেবল এই পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। হান্ট বলেছেন, আমরা ব্রেক্সিট ডিল পার্লামেন্ট সম্পূর্ণভাবে পাস করিয়ে আনতে পারি। তার এ বক্তব্য ওই ডিল বিরোধীদের নতুন করে উস্কে দিয়েছে। এতে ব্রেক্সিট পরবর্তী আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত ইস্যুটি নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে। আয়ারল্যান্ড ব্যকস্টপ নামে পরিচিত ইস্যুটি এখনও পর্যন্ত একটি অমীমাংসিত বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। হান্টও ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যদের কাছে এ বিষয়ে আশ্বাস চেয়েছেন। মে তার ডিলে সমর্থন দেয়ার জন্য এমপিদের প্রতি বারবার অনুরোধ করেছেন। জানুয়ারির মধ্যে এ কাজটি করতে হবে। অন্যথায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নো ডিল ব্রেক্সিট ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা থাকবে না। ইইউপন্থী এমপি ও প্রচারাভিযানকারীরা বলছেন বিকল্প দুটির একটিও বাস্তব সম্মত নয়। ব্রেক্সিট ইস্যুতে জনগণকে চূড়ান্ত মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া উচিত, ইন্ডেপেন্ডেন্ট পত্রিকার এই দাবিকে তারা সমর্থন করেছে। সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল গ্রিভ বলেন, নিজ কর্মকা-ের জন্য সরকারের নিজে থেকে অচলাবস্থার মধ্যে পড়বে। ‘অনেক উপায় এখনও আছে যেগুলো ঠিকমতো উদ্ভাবিত হয়নি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি এবং যার ওপর ভোটগ্রহণও হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই সে পথ বন্ধ করে দিচ্ছেন। ডাউনিং স্ট্রিট নো ডিল ব্রেক্সিটের হুমকি দিচ্ছে। এটি না করে ডাউনিং স্ট্রিটের উচিত বিষয়টি পার্লামেন্টের কাছে ন্যস্ত করা উচিত। পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে আমরা জানি যে কোন বিষয়ে অনেক বিকল্প থাকে। সেখান কোন একটি বিকল্প বেছে নেয়ার স্বাধীনতা আমাদের থাকা উচিত। ব্রেক্সিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এমপিরা যে ধীরে ধীরে শক্তি অর্জন করছেন সর্বশেষ পরিকল্পনা তার প্রমাণ। পার্লামেন্টে দুই দলের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতাসীনরা এখন নতুন করারোপ করতে পারবে না। বড়দিন উপলক্ষে দুই সপ্তাহের বন্ধ থাকার পর ৭ জানুয়ারি কমন্স সভার অধিবেশন আবার শুরু হবে। মে’র ব্রেক্সিট ডিলের ওপর বিতর্ক শুরু হবে ৯ জানুয়ারি থেকে।
×