ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় জোটের রাজনীতি নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

 বগুড়ায় জোটের রাজনীতি নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে

সমুদ্র হক ॥ বগুড়ার নির্বাচনী হাওয়ায় জোটের রাজনীতি নিয়েও সাধারণের মধ্যে কৌতুহল বাড়ছে। প্রতি এলাকার মানুষ যে নির্বাচনমুখী তাও এখন স্পষ্ট। দিন কয়েক আগেও নদীর জোয়ার ভাটার মতো সাধারণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা কাজ করছিল। বর্তমানে তা আর নেই। সকলেরই কথা নির্বাচন সময়মতো হতে যাচ্ছে। তারা প্রহর গুনছে তফসিলের পর নির্বাচনের। দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭৩ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বৃহত্তর বগুড়ার (বগুড়া ও জয়পুরহাট) নয়টি আসনেই বিজয়ী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ওই সময়ের আওয়ামী লীগের দক্ষ সংগঠক বগুড়ার গাবতলী আসনের এমপি মোস্তাফিজার রহমান পটল, সারিয়াকান্দি আসনের এমপি মোহাম্মদ সুরুজ প্রতি এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করার পর বগুড়ার একটি পরিচিতি পায় বিএনপির এলাকা। কথিত এই পরিচিতির অন্যতম একটি কারণ জিয়াউর রহমানের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ি গ্রামে। এরপর ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে বগুড়ার সাত আসন পায় বিএনপি। ১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতা দখলের কিছুদিন পর জাতীয় পার্টি (জাপা) গঠন করেন। এরপরের দুইটি নির্বাচনে (তৃতীয় ও চতুর্থ) বগুড়ার আসনগুলোতে জাপা প্রার্থীরা ভোট কৌশলে বিজয়ী হন। এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম সাধারণ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসনে জামায়াত ও বাকি আসনগুলোতে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হন। এরপর বিএনপির শাসনামলে বিতর্কিত ষষ্ঠ নির্বাচনে বিএনপি কথিত বিজয়ী হওয়ার অল্পদিনের মধ্যে ১৯৯৬ সালে সপ্তম নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হন। একই অবস্থা হয় ২০০১ সালের অষ্টম নির্বাচনে। ২০০৮ সালের নবম সাধারণ নির্বাচনে বগুড়া দুইটি আসন বগুড়া-১ ও বগুড়া-৫ এ বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয় এনে দেন। তবে বাকি ৫টি আসনে বিএনপি জয়ী হয়। ২০১৪ সালে দশম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জোটের প্রার্থীরা নির্বাচনে শরিক হন। বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আব্দুল মান্নান এবং বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বগুড়ার বাকি ৫ আসনে জোটের ভাগাভাগিতে এগিয়ে থাকে জাতীয় পার্টি। বগুড়া-৪ (কাহালু নন্দীগ্রাম) আসনে নির্বাচিত হন জোটের আরেক ভাগিদার জাসদ প্রার্থী। এর মধ্যে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৭ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকিগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী ছিলেন না। দশম নির্বাচনে এই হিসাব নিকাশ সামনের একাদশ নির্বাচনে আর ঠিক থাকছে না। এতদিন বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যে কালোমেঘ ছিল তা কাটতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে যা মেলে তা হলো : শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকায় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত যে নেতাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল তাদের ১১ জনকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ জিয়াউল হক মোল্লা আছেন। তারা দু’জনই ওই আসনে টানা তিন বার বিজয়ী হওয়া এমপি। আগামী নির্বাচনকে ঘিরেই যে তাদের নিজ ঘরে প্রত্যাবর্তন তাও আর কুয়াশাচ্ছন্ন নয়। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তারা যে ওই আসনে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন তাও বলাবলি হচ্ছে। বগুড়া-৫ আসনে ২০০৮ সালে সংস্কারপন্থী জিএম সিরাজ মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জানে আলম খোকা। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা নিয়ে তিনি মাঠে আছেন। দলে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রত্যাবর্তনে মুখ বেজার করে তিনি সহজে মেনে নিতে পারছেন না। তার প্রমাণ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার শেরপুরে সাংগঠনিক কর্মী সভায়। সেখানে তিনি সিরাজের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষোভ ও বিষেদগার করেছেন। আবার বগুড়া- ৪ আসনে সাবেক এমপি বিএনপির জিয়াউল হক মোল্লার প্রত্যাবর্তনে যতটা না প্রভাব পড়েছে বিএনপির মধ্যে তার চেয়ে বেশি টেনশন বর্তমান এমপি জাসদের রেজাউল করিম তানসেনের মধ্যে। ২০০৮ এর নবম নির্বাচনে মনোনয়ন পান বিএনপির মোস্তফা আলী মুকুল। ওই নির্বাচনে মুকুলের কাছে পরাজিত হন জাসদের রেজাউল করিম তানসেন। তবে দশম নির্বাচনে রেজাউল করিম তানসেন জাপা প্রার্থী নুরুল আমিনকে হারিয়ে বিজয়ী হন। একাদশ নির্বাচনে রেজাউল করিম তানসেন মনোনয়ন চাইবেন। বগুড়া-৪ আসনেই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে গেল প্রায় এক বছর ধরে মাঠে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। তিনি প্রতি এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ সভা সমাবেশ করছেন। বিএনপির এলাকা এমন কথাটিকে ভুল প্রমাণ করতে তিনি সাধারণের মধ্যে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, দশম সাধারণ নির্বাচনে মমতাজ উদ্দিন জোটের স্বার্থে এই আসনটির ভাগিদার জাসদকে ছেড়ে দেন। এবার যে তিনি এই আসনে নির্বাচন করবেন তা নিশ্চিত করেই বলছেন। আওয়ামী লীগের আরও দু’জন প্রার্থী মাঠে আছেন। তারা হলেনÑ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ ও কামাল উদ্দিন কবিরাজ। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জাসদ জোটের ভাগ না পেয়ে একক ভাবে নির্বাচন করলে ত্রিমুখী লড়াই হবে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেন বগুড়ায় প্রতি এলাকায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। বগুড়ায় আওয়ামী লীগের সবচেয়ে ভাল অবস্থান বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে। আক্ষরিক অর্থেই যমুনা ও বাঙালী তীরের এই আসনে নৌকার পালেই হাওয়া লগেছে। গত দশ বছরে এই আসনে যত উন্নয়ন হয়েছে অন্য কোন আসনে তেমন উন্নয়ন হয়নি। বলা যেতে পারে বগুড়ার এই আসনটিকে বর্তমান এমপি আব্দুল মান্নান উন্নয়নের রোল মডেল করে দিয়েছেন। বগুড়াকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বানাতে তিনি এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন। বলাবলি হয় তিনি মনোনয়ন পাবেন। তারপরও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনজন। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সাবেক এমপি কাজী রফিকসহ চারজন আছেন। জাপা থেকেও আছেন দু’জন। তবে জাপা আশায় আছে ভাগ পাওয়ার। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে এরশাদের শাসনামলের একজন এমপি মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে টিকেট কেটেছিলেন আওয়ামী লীগের। মনোনয়নের গুঞ্জনও উঠেছিল। বিধি বাম। সম্প্রতি তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আশায় বেশি ছোটাছুটি করছেন আকরাম হোসেন। দশম নির্বাচনে ভোটের ভাগ দিয়েছিলেন জোটের জাপাকে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জেলা জাপা সভাপতি শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ। জিন্নাহ এবারও জোটের ভাগের আশায় আছেন। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কথা : কেন জাপাকে আসন ছাড়তে হবে! আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিকের আশার গুড়ে বোধ হয় বালিই পড়ল। মনোনয়নের প্রত্যাশা ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্বে আছেন তাদের মনোনয়ন না দেয়ার। এই খবরে তিনি কিছুটা বিমর্ষ। বাকিরা বেশ খোশ মেজাজেই আছেন। এই আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী জামায়াতের শাহাদুতউজ্জামান প্রার্থী। তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তিনি বিএনপির জোটের মধ্যে কারও প্রতীক ধার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে বিএনপিও প্রার্থী তৈরি করে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে সাবেক এমপি হাফিজার রহমান মনোনয়ন পেতে পারেন। বলাবলি হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (যার মধ্যে বিএনপি আছে) কাউকে মনোনয়ন দিলে তখন কি হবে! বগুড়া-৩ আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী তালিকায় এগিয়ে আছেন জনপ্রিয় নেতা প্রয়াত আনসার আলী মৃধার ছেলে মারুফ রাব্বি মৃধা। প্রত্যাশার লাইনে সম্ভাব্যতার মধ্যে আছেন সিরাজুল আলম খান, আব্দুল মতিন ও প্রবাসী আসাদুর রহমান। বিএনপি ও জাপা থেকেও কয়েকজন প্রার্থী আছেন। বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান এবারও প্রার্থী হওয়ার আশা করে মাঠে আছেন। এই আসনেই আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনুও মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলাকার এখনই দু’জন দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বক্তব্য দিচ্ছেন। মজুন অনুসারীরা বর্তমান এমপির বিপক্ষেও কথা বলছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের দুই নারী প্রার্থী মাঠে আছেন। তারা হলেনÑ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা ও শেরপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা জামান হিমিকা। বগুড়ায় এই প্রথম নারী প্রার্থী সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নেমেছেন। বগুড়া-৬ (সদর) আসন গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে দশম নির্বাচন ছাড়া প্রতিবার বিজয়ী হন বেগম খালেদা জিয়া। আসন ছেড়েও দেন। উপ-নির্বাচনে একবার নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। একাদশ নির্বাচনে এই আসনে খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানের প্রার্থী হওয়ার কথা। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দ-াদেশ হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে এলে তারেক পত্নী ডাঃ জোবায়দা রহমানকে প্রার্থীর জন্য টেনে আনা হতে পারে। একাদশ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়ার একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছেন তরুণ নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। বগুড়ার উন্নয়নে তার পরিকল্পনা প্রচার করছেন ছোট পুস্তিকার মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পরিবারের এই তরুণ দশম নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জোটকে ভাগ দেয়ায় তিনি আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেন। এবারের নির্বাচনে প্রায় এক বছর ধরে মাঠে আছেন রাগেবুল আহসান রিপু। যার বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মী বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন ওয়াজেদ আলী তালুকদার (প্রয়াত)। তিনি পাঁচবার নামুজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। রিপুর মামাত ভাই আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠক সাবেক এমপি মোস্তাফিজার রহমান পটল (প্রয়াত)। রিপুর ভাবি কামরুন্নার পুতুল সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে। বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনটিও বিএনপির দখলে ছিল ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। এই আসনেও প্রতিবার খালেদা জিয়া নির্বাচিত হন। প্রতিবার আসন ছেড়ে দিলে উপ নির্বাচনে দুই বার বিজয়ী হয়েছেন হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও একবার ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। বগুড়ার নির্বাচনে জামায়াতের অন্তত তিন প্রার্থী মাঠে আছেন। তবে তারা বেশ কৌশলী। জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তারা হয় স্বতন্ত্র না হয় জোটের কোন শরিকের প্রতীক নিতে পারেন।
×