ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি -জাফর ওয়াজেদ

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৪ জুন ২০১৮

ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি -জাফর ওয়াজেদ

হতদরিদ্র অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের পথে বাংলাদেশ আজ। বিশ্ব উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ তার অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যা অভাবনীয় মনে হতেই পারে। দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং এর নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিম-লে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। একটি পশ্চাদপদ দেশকে উন্নয়নের কাতারে শামিল করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বের মাঝে নিজের অবস্থানকে করতে পেরেছেন সুদৃঢ়। তাই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সাত দেশের জোট ‘জি-সেভেন’ সভায় তাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আউট রীচ অনুষ্ঠানে আবারও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই দেশটির আর্থ-সামাজিক ও কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করে জি-সেভেন জোট। যা দেশটির অভ্যন্তরীণ অবস্থার উল্লেখযোগ্য উদ্বোধনের ফল। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ও তার নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও মৈত্রীর ক্ষেত্রে তার দৃঢ় অবস্থান। নানা আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক জোট এবং সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতৃত্বের যে ভূমিকা রাখছেন তা তাকে বিশ্ব পরিম-লে নেতৃত্বের আসন লাভ অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘও জি-সেভেনের মতো আসরে তার বিশেষ মর্যাদা এ কারণেই। এসব কারণেই তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রণীত প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছেন। বস্তুত দারিদ্র্য হ্রাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ প্রভৃতি কারণেই বাংলাদেশ বিশ্ব পরিম-লে স্বাতন্ত্র্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সর্বোপরি, লাখ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে বাংলাদেশে আশ্রয় দান এবং সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বমহলে প্রশংসিত হয়ে আসছে। নিজ দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যার মধ্যেও যেভাবে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহানুভূতি প্রদর্শন করে আসছে, তাতে বিশ্ববাসী বিস্মিত হলেও শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা, সাহসী ভূমিকা অন্যতম উচ্চমাত্রা এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে আজ এক ‘রোল মডেল’ দেশে উন্নীত হয়েছে নানা দিক থেকে। তাই বাংলাদেশকে অনুসরণ করে অগ্রযাত্রার পথ তৈরিতে অনেক দেশই এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ নিজে যেমন স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন এখন অনেক দেশকেই দেখানো হচ্ছে। শুধু দেখা নয়, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পথ নির্দেশিকা এবং সঠিক কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যাত্রাপথ মসৃণ না হলেও স্বপ্নপূরণের পালায় চড়াই-উতরাই ভেঙ্গে বেরিয়ে আসছে উন্নতির অগ্রযাত্রায়। তাকে পাড়ি দিতে হবে আরও বহুপথ। সেই পথে যতই থাক কাঁটা বিছানো, তা উপড়ে ফেলার সক্ষমতাও ক্রমশ ধারণ করছে দেশটি। বাঙালীর আশা-আকাক্সক্ষার চৌহদ্দি স্বদেশ ছাড়িয়ে এখন বিশ্বসভায় পৌঁছে গেছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে সত্যিকারার্থেই উত্থান ঘটেছে দেশটির। যে কারণে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতিশীল নেতৃত্বের কারণে বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে একজন আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের ইমেজ তৈরি করতে পেরেছেন তিনি। তার সামনে এখন ২০২১ সালের চ্যালেঞ্জ। এই সময়ের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার এবং উন্নয়নশীল দেশের পথে অগ্রযাত্রার যে লক্ষ্য স্থির করেছেন তা পূরণে কঠোর শ্রম বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বিশ্বের মাঝে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রটিও করতে হচ্ছে সম্প্রসারিত। এটা সত্যি যে জনগণের সমর্থন ছাড়া পৃথিবীর কোন নেতারই শক্তি নেই কোন কর্মসূচী সফলভাবে বাস্তবায়ন করার। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে ভাগ্যবান অবশ্যই। দেশের ১৬ কোটি মানুষের বড় অংশও শ্রমজীবী, শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত, কৃষিজীবীসহ পেশাজীবী এবং অন্যান্য স্তরের জনগণের সমর্থন পাচ্ছেন ব্যাপকার্থে। জনগণ দু’বেলা দু’মুঠো খাবার এখন পাচ্ছে নিয়মিতভাবে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকারগুলো জনগণের দরজায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ হাসিনা তার এক লেখায় বলেছেন ‘আমি জনগণের ক্ষমতার শক্তিতে বিশ্বাস করি।’ এই বিশ্বাসই তাকে দেশের গ-ি ছাড়িয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আর জনগণের শক্তিতে বলিয়ান হতে পেরেছেন বলেই শত বাধা বিঘœ সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অগ্রগতির রথ টেনে নিতে পারছেন। তাই দেখা যায়, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি উর্ধমুখী। বাড়ছে মাথাপিছু আয়। বেড়েছে গড় আয়ু। কমেছে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার, বাড়ছে রফতানি আয়। উন্মোচিত হচ্ছে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি উপযোগী সময়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা সঠিক যে, দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর অকুণ্ঠ সহযোগিতা বাংলাদেশকে যে লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্ব নেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন তাই বাংলাদেশের অবস্থান, বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনার উন্নয়ন নীতিমালা। বাংলাদেশের দ্রুত ও অভাবনীয় উন্নয়নে বিশ্বনেতারাও বিস্মিত। তাই তারা উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। এটা বাংলাদেশের বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সফলতা ও অর্জনের স্বীকৃতি। বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তির জোট জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের ‘আউটরিচ প্রোগ্রামে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী আট ও নয় জুন কানাডার কুইবেকে এই শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। নয় জুন হবে সম্মেলনের আউটরিচ প্রোগ্রাম। আউটরিচে জোটভুক্ত নয়, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ এমন দেশগুলোর সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার এই অংশগ্রহণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বাড়ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যেখানে বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশ নেত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার রূপরেখা এবং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বিষয়ে অবহিত হবেন। এই সম্মেলনে শেখ হাসিনার উপস্থিতি ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বৈকি। প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ইমেজ এবং এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, এই আমন্ত্রণ তারই স্বীকৃতি। বিশ্ব নেতৃত্বে শেখ হাসিনা আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন এই সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে। জি-সেভেনের ২০১৬ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালি জি-সেভেনের সদস্য। এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে অংশ নেবার সুযোগ হয়েছিল। ওই আডটরিচ সম্মেলনে তিনি ছিলেন মধ্যমণি। জি-সেভেনের নেতৃবৃন্দের সামনে বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নত দেশ থেকে অধিকতর সহায়তা উন্নয়নশীল দেশের অনুকূলে সঞ্চালন, উন্নত দেশসমূহের বাজার অনুন্নতের জন্য অধিকতর মাত্রায় উন্মুক্তকরণ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিহতকরণে উন্নত দেশসমূহকে বিশ্বব্যাপী অধিকতর কার্যক্ষম পদক্ষেপ নেয়া ও উন্নয়নশীল দেশে বিশ্ব উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অধিকতর বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওই সম্মেলনে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই উন্নয়নে তার নিজস্ব কৌশল ও ভবিষ্যত উন্নয়ন ভাবনাগুলো তুলে ধরেন। উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ে তার বৈশ্বিক চিন্তা উপস্থাপন করেছিলেন। ‘কানেক্টিভিটিকে’ সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর পরিবেশ ইস্যুতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এগিয়ে যাওয়ার কৌশলের উল্লেখ করেছিলেন। স্বাস্থ্যখাতে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য অর্জনে বাংলাদেশ এমডিজিতে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি এসডিজিতেও নেতৃত্ব দেবেÑ এই দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে গোটা বিশ্বকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার কৌশলে জোর দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিশ্চিত করার বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন। নারীকে নীতি প্রণয়ন ও রাজনীতিতে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করা, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা, সমাজে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার কথা তুলে ধরেছিলেন। নারীর ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিও তিনি স্পষ্ট করেছেন বিশ্বসমাজের কাছে। বিশ্বের পশ্চাৎপদ অংশের এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করছে সব ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর। বাংলাদেশের পথচলা এক্ষেত্রে অন্যদের জন্যও যে অনুকরণীয় হতে পারে জি-সেভেন সম্মেলনে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন। দেশের উন্নয়ন, অর্জন ও সাফল্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দ ও গর্বের বিষয়। সবার দায়িত্ব এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জন। এ পথে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, নানা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। জাপান সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনাকে যে সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করেছেন, তা ষোল কোটি বাঙালীকেও মর্যাদাবান করেছে। শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার মধ্যে বাংলাদেশ নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখবে, তা নয়। তার স্বপ্ন আরও দূরে, যেখানে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ শক্তির পাশে দাঁড়াতে পারবে। উন্নত বিশ্বের সাতটি দেশের জোট জি-সেভেনের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে। বিষয়টি অভাবনীয় মনে হলেও বাস্তবতা বলে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ যেভাবে সমৃদ্ধিতর হয়ে উঠছে, অগ্রগতির সোপানে নিজেকে সম্প্রসারিত করছে, তাতে ২০৪১-এর অনেক আগেই ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশবাসীর মধ্যে সেই স্বপ্ন জাগরিত করেছেন শেখ হাসিনা। জাপান সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একটি উন্নততর বিশ্ব আরও উন্নত একটি গ্রহ এবং শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বব্যবস্থার জন্য জনগণের জীবনকে রূপান্তর করতে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরা এ অঞ্চলের বাকিদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাই। কানাডা সন্মেলনের মধ্য দিয়ে উন্নত দেশের নেতারা আবারও প্রমাণ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ নানাভাবে। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার পথে তারা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন। বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা যেভাবে প্রতিভাত করেছেন নিজের ইমেজ, এই সম্মেলনে তার প্রতিফলন ঘটবেই। আসন্ন সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রাধান্য পাবে। তাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ অগ্রগতি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় এগারো লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে এই রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে; যা সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও বাণিজ্য ও সমুদ্র সম্পদ নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন শেখ হাসিনা। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার পর সমুদ্র সম্পদ আহরণের জন্য বাংলাদেশ জোর দিয়েছে। এ বিষয়ে কোনও জ্ঞান বা প্রযুক্তি নেই, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই সম্পদ আহরণ করতে পারে। তাই ইতোমধ্যে ভারত, চীন ও ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতাও চাইবেন তিনি। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় নিজের অবস্থান তৈরি করছে। বিশ্বজুড়ে শেখ হাসিনা যে অবস্থান তৈরি করেছেন, তা বাঙালী জাতিকে এক উঁচু অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে। ভুবনজুড়ে শেখ হাসিনার নাম তাই জ্বল জ্বল করছে।
×