ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড় ধসে মৃত্যু ঠেকাতে প্রশাসনের তোড়জোড়

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২১ এপ্রিল ২০১৮

 পাহাড় ধসে  মৃত্যু ঠেকাতে  প্রশাসনের তোড়জোড়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রতি বর্ষা মৌসুমে মহানগরীতে প্রায়শ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে কম-বেশি প্রাণহানিও হয়। ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের পক্ষে শুরু হয়ে যায় নানা তোড়জোড়। বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলে নিম্ন আয়ের লোকজনই এ জাতীয় ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। বর্ষা যায় বছর ঘুরে আবার আসে। প্রতিবারই পাহাড় ধসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা সুপারিশ প্রদান করা হয়। আয়োজন হয় সভা সমাবেশ ও সিম্পোজিয়ামের। তা থেকেও আসে নানা সুপারিশ। কিন্তু সবই থাকে বিফলে। কোন কিছুই কার্যকর করার বিষয়টি দৃশ্যমান হয় না। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ বসতকারীদের উচ্ছেদ করতে মাঝে মাঝে জেলা ও রেলওয়ে প্রশাসনকে সোচ্চার হতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে বড় একটি পাহাড় জুড়ে ভূমির মালিকানা রয়েছে রেলওয়ের। রেল কর্তৃপক্ষকেও অভিযান চালাতে দেখা যায়। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে দিনে উচ্ছেদ রাতে আবার দখল হয়ে যায়। ফলে চট্টগ্রামে কোথাও পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ দখলকারীদের সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করা অতীতে কখনও হয়নি। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ বসতিতে পানি, বিদ্যুত এমনকি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু কোন অজানা রহস্যের বলে এরা আবার ঠিকই এ জাতীয় সংযোগ পেয়ে যায়। ফলে প্রতিবছর চট্টগ্রামের বহিঃঅঞ্চল থেকে নি¤œআয়ের জনমানুষের আগমন যেমন বাড়ছে তেমনি গড়ে উঠছে অবৈধ বসতিও। এ বছরের বর্ষা মৌসুম একেবারে সমাগত। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাল বৈশাখীর ছোবল হানা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামেও বর্ষার আগমন জানান দিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। শুরু হয়েছে তাদের নানামুখী তোড়জোড়। এ তোড়জোড় শেষ পর্যন্ত কোন কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে বড় ধরনের প্রশ্ন। অতীতে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির বিভিন্ন ঘটনায় যে সকল সুপারিশ তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল এর একটিও অদ্যাবধি কার্যকর যেখানে হয়নি, সেখানে নতুন করে তোড়জোড় হওয়ার বিপরীতে কি সফলতা বয়ে আসবে সেটি আসল প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অবৈধ বসতি এলাকায় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেসি বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান ভু-ুল হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
×