ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লিখেছেন- ॥ সুধীর বরণ মাঝি

যেভাবে ভালো করতে পার এসএসসি পরীক্ষায়

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

যেভাবে ভালো করতে পার এসএসসি পরীক্ষায়

শিক্ষক, হাইমচর মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চাঁদপুর। মোবাইল ঃ ০১৭৯৪৭৭৭৫৩৫ প্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিও। পরীক্ষা কড়া নাড়ছে তোমাদের দরজায়। তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতিও তাই প্রায় শেষ পর্যায়ে। মনে রাখবে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ফলাফলের জন্য সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে ভালো নম্বর পেতে হবে। এসএসসি পরীক্ষা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো ফলাফল জীবনের গতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। আত্মবিশ্বাস এবং নিয়মিত অনুশীলন তোমার সেই কাঙ্খিত ফলাফল এনে দিতে পারে। পরীক্ষার জন্য তোমাকে যেমন বিষয় ভিত্তিক ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে ঠিক তেমনি শারীরিক ও মানসিকভাবেও সুস্থ থাকতে হবে। তাই ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিটি বিষয়কে দিতে হবে সমান গুরুত্ব । পরীক্ষা ভীতি দূর করে পরীক্ষা প্রীতি সঞ্চার করতে হবে। পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যাবে না। ভয়কে করলে জয় পরীক্ষাতে ভালো হয়। পরীক্ষা ভয়ের নয়, পরীক্ষা নিজেকে জয়ের। যদি সম্ভব হয় ৩ঘন্টা সময় নিয়ে একটি মডেল প্রশ্ন ধরে নিজে নিজেই পরীক্ষা দিয়ে চূড়ান্তভাবে নিজেকে আরেকবার যাচাই করে নাও। দিনে বেশি পড়বে, এবং রাতে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। ১ ঘন্টা পড়বে এবং ১০ মিনিট বিশ্রাম নিবে, পরীক্ষার সময় এইভাবে চালিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা হলো আনন্দ ও উৎসবের আমেজ। পরীক্ষা হলো নিজেকে যাচাই করার একটি পদ্ধতি মাত্র। নিয়মটি মানলে ভালো রেজাল্ট আসবেই। মনোযোগ + নিয়মিত পড়া +নিয়মিত লেখা=ভালো ফলাফল। এখন থেকেই প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন পরীক্ষার কাক্সিক্ষত ফলাফল লাভ করা যায়। নিয়মিত অনুশীলন এবং অধিক প্রস্তুতিতে সহজ এবং ভালো ফলাফল সম্ভব। পরীক্ষার হলে তাড়াহুড়ো করার কোন প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর খুব মনোযোগ সহকারে ৫ মিনিট সময় নিয়ে একবার পড়ে নিবে। তারপর স্থির কর কোন উদ্দীপকের উত্তর তুমি ভালো লিখতে পারবে এবং সেখান থেকেই শুরু কর। প্রশ্নে যতগুলো উত্তর লেখার কথা বলবে তোমাকে অবশ্যই ততগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর লেখতে হবে। ব্যবহারিক বিষয়ের বাহিরে প্রতিটি বিষয়ে অবশ্যই ৭টি উদ্দীপকের উত্তর লিখতে হবে। উত্তরপত্রে অবাঞ্চিত কোন কিছু লেখা যাবে না । গ এবং ঘ এর উত্তর লেখার সময় প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কোন বিখ্যাত ব্যক্তি,দার্শনিকের উক্তি বা সাল, চিত্র, ডায়গ্রাম, রেখাচিত্র সাংকেতিক চিহ্ন, তালিকাসূচি, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। গ এবং ঘ এর উত্তর প্যারা আকারে লেখতে চেষ্টা করবে। সময়ের সাথে মিল রেখে ৭ টি উদ্দীপকের উত্তর লেখতে হবে। পরিক্ষার প্রস্তুতিকালে কমপক্ষে দু’বার মূল বইটি পড়তে হবে। বহুনির্বাচনি / নৈর্ব্যত্তিক এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। খাতায় কাটা ছেঁড়া যত কম করা যায় ততই ভালো। কোন কিছু কাটতে হলে একটান দিয়ে কেটে সঠিক উত্তরটি লিখে দাও। পরীক্ষার হলে কোন প্রশ্ন জানার বাইরে এলে প্রশ্নটি এবং উদ্দীপকটি কয়েকবার মনোযোগ সহকারে পড়বে তারপর একটু বুদ্ধি খাটলেই আশা করি উত্তরটি লেখতে পারবে। পরীক্ষার হলে যে কাজটি অতিগুরুত্বের সাথে এবং নিখুঁতভাবে করতে হবে তা হলো ও, এম, আর ফরম পূরণ। ১০মিনিট আগে লিখা শেষ করে পুরো খাতাটিকে রিভিশান দিতে হবে। এতে কোন ভুলত্রুটি থকলে সংশোধনের সুযোগ পাওযা যায়। হয়ে যাওয়া পরীক্ষা নিয়ে অহেতুক টেনশন করা যাবে না। মনে সাহস রাখতে হবে আমি উপযুক্ত বলেই আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছি। তোমাদের জন্য এবার একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে আর সেই নিয়মানুযায়ী তোমাকে অবশ্যই পরিক্ষা শুরুর ৩০মিনিট পূর্বেই পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকতে হবে। এজন্য তোমাকে প্রয়োজনীয় সময় হাতে রেখে বাড়ি থেকে পরীক্ষা হলের উদেশ্যে রওনা দিতে হবে।
×