ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ইন্টারনেট ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্পনাও করা যায় না

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ২১ মে ২০১৭

একুশ শতক ॥ ইন্টারনেট ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্পনাও করা যায় না

১৬ এপ্রিল ’১৭-এর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ইন্টারনেটবিষয়ক দুটি খবর পেলাম আমরা। বিষয়টি প্রায় সকল মিডিয়ারই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একটি খবর হচ্ছে যে, বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন অবশেষে আইটিইউ-এর সহায়তায় একটি জরিপ চালাবে এবং তারই ভিত্তিতে মুঠোফোনে ইন্টারনেটের দাম ঠিক করা হবে। “দেশে মুঠোফোনভিত্তিক ইন্টারনেটের দাম কত হওয়া উচিত, সেটি নির্ধারণে ‘কস্ট মডেলিং’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ জন্য জাতিসংঘের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) একজন কর্মকর্তাকে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এই পরামর্শক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণে বিটিআরসিকে পরামর্শ দেবে। একটি সেবা দিতে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কত খরচ হয়, সেটি বের করার পদ্ধতিকে বলা হয় কস্ট মডেলিং। সেবার মূল্য নির্ধারণে বিভিন্ন গাণিতিক সমীকরণ কস্ট মডেলিংয়ে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে না হলেও মুঠোফোনে কল করার মূল্য নির্ধারণে আইটিইউর পরামর্শক দিয়ে ২০০৮ সালে একটি কস্ট মডেলিং করেছিল বিটিআরসি। সেই মডেল অনুসারে প্রতি মিনিট ভয়েস কলের সর্বোচ্চ মূল্য ২ টাকা আর সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।’ খবরটিতে বলা হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের ২৭ মার্চ ’১৭-এর সভায় সরকার এই নির্দেশনা দেয়। বস্তুত ২৭ মার্চ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভা প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নয়, মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই সভাতেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়। খবরে বলা হয়, “জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, কস্ট মডেলিংয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেটের দাম কত হওয়া উচিত, সে বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। এরপর সে অনুযায়ী বিটিআরসি ব্যবস্থা নেবে। ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে ২০১৬ সালেও একবার কস্ট মডেলিং করার উদ্যোগ নিয়েছিল বিটিআরসি। ২০০৮ সালে ভয়েস কলের ক্ষেত্রে কস্ট মডেলিং বিনামূল্যে করে দিয়েছিল আইটিইউ। কারণ, তখন বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ ছিল। কিন্তু নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় আইটিইউয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশকে এখন কস্ট মডেলিংয়ের জন্য অর্থ খরচ করতে হবে। আইটিইউয়ের পরামর্শক দিয়ে কাজটি করাতে বিটিআরসির ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে কস্ট মডেলিংয়ের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে মুঠোফোন অপারেটররা। রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র ইকরাম কবীর প্রথম আলোকে বলেন, এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। তবে মূল্য নির্ধারণে আইটিইউয়ের পরামর্শক যেন এ খাতের সবার মতামত নেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭২ লাখ। এর মধ্যে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩১ লাখ, যা মোট ব্যবহারকারীর ৯৪ শতাংশ। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সরকারী এ হিসাবের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটসের হিসাবে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। এসব সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রকৃত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটির কিছু বেশি। বাংলাদেশে মুঠোফোন ইন্টারনেট গ্রাহকদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ মূল্য নিয়ে। তবে মুঠোফোন অপারেটরদের দাবি, বাংলাদেশে এই ইন্টারনেটের মূল্য সারাবিশ্বের মধ্যে এখন দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। অপারেটরদের মতে, উচ্চকর, মধ্যবর্তী সেবার উচ্চমূল্য ও ব্যয়বহুল তরঙ্গের মতো বিষয়গুলো ইন্টারনেটের মূল্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরকার ব্যান্ডউইথের মূল্য কমালেও গ্রাহকের হাতে ইন্টারনেটসেবা পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত অপারেটরদের খরচ কমেছে মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশ। তাই চাইলেও বর্তমানের চেয়ে কম দামে গ্রাহকদের ইন্টারনেট দেয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বিভিন্ন মুঠোফোন অপারেটরের ৩০ দিন মেয়াদের এক গিগাবাইট ইন্টারনেট প্যাকেজের গড় দাম ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। আর ৭ দিন মেয়াদের এক গিগাবাইট প্যাকেজের দাম ৮৯ থেকে ৯৪ টাকা। এ দামের সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর, ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১ শতাংশ সারচার্জ গ্রাহককে দিতে হয়। এ হিসাবে প্রতি ১০০ টাকার ইন্টারনেটসেবা কিনতে গ্রাহককে প্রায় ২২ টাকা কর দিতে হয় (দৈনিক প্রথম আলো)। একই পত্রিকায় একই দিনে ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা ফেসবুকের একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়, “সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসাবে ঢাকা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল মিলিয়ে ঢাকা শহর বোঝানো হয়েছে। এখানে ২ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত ‘উই আর সোশ্যাল লিমিটেড’ ও কানাডার ‘হুট স্যুট ইনকর্পোরেশন’-এর এক যৌথ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ক গবেষণা ও ডিজিটাল সেবাদাতা হিসেবে পরিচিত। ওই প্রতিবেদনে এপ্রিল মাসে ফেসবুক ব্যবহারকারী শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের। সেখানে তিন কোটির বেশি মানুষ ফেসবুকে সক্রিয়। আর ঢাকার পরে আছে জাকার্তা ও মেক্সিকো সিটি। জাকার্তায় ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় ঢাকার সমান। মেক্সিকো সিটিতে সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উই আর সোশ্যালের করা প্রতিবেদনে ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। ওই সময় ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ। অর্থাৎ গত তিন মাসে ঢাকায় ৬০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে। দেশ হিসেবে যদিও শীর্ষ ১০ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। এ তালিকায় দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে প্রায় ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত, সেখানকার ২১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন। এরপর রয়েছে ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকো। বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সম্পর্কে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্র বলছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ২ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন। দেশে যত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহƒত হচ্ছে এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ফেসবুক। বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ পুরুষ আর ৬৩ লাখ নারী। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ৯৩ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে মোবাইল ডিভাইস থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষ ফেসবুকে ঢুকছেন। উই আর সোশ্যালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বিশ্বের প্রায় সাড়ে সাত শ’ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে ৩৭৭ কোটি; আর এদের মধ্যে ২৭৮ কোটি ব্যবহারকারী কোন না কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সক্রিয়। জানতে চাইলে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়শেন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পরিচালক রিয়াদ হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ‘এ হিসাবে কিছু গোলমাল থাকতে পারে। কারণ, ফেসবুকে পুরো বাংলাদেশের ব্যবহারকারী ২ কোটি ৩০ লাখের মতো বলে ফেসবুক সূত্রেই জানা যায়। ঢাকার সব বাসিন্দা ফেসবুক ব্যবহার করলেও সংখ্যাটা এত বেশি হবে বলে মনে হয় না। তবে শহর হিসেবে ঢাকা সারা বিশ্বের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারে এগিয়ে আছে বলেই মনে হয়।’ ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে একদিকে যেমন বিটিআরসির চরম ব্যর্থতা রয়েছে অন্যদিকে ইন্টারনেটের বিষয়ে সরকারের রাজস্ব আহরণ বিভাগের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সেই সরকার এই কর্মসূচীর মহাসড়ক ইন্টারনেটের ওপর শতকরা ২২ ভাগ রাজস্ব আদায় করতে পারে সেটি কল্পনারও বাইরে। কিন্তু এটি এখন নয়, বহুদিন থেকেই চলমান রয়েছে। আমরা পুরো দেশের মানুষ তাদের বোঝাতে পারছি না যে, ইন্টারনেট হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। বিটিআরসির নিয়ন্ত্রণাধীন টেলকোগুলো বস্তুত গলাকাটা দামে ইন্টারনেটসেবা প্রদান করে। তারা সরকারের কাছ থেকে যে ব্যান্ডউইথ ৬২৫ টাকায় কেনে তা লাখ লাখ টাকায় বেচে। এমনকি ব্যান্ডউইথের হিসাবে কোন প্যাকেজ বিক্রি না করে ডাটার হিসাবে প্যাকেজ বিক্রি করে, কারণ তাতে শতগুণ মুনাফা করা যায়। বিটিআরসি কখনও এই মুনাফার রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেনি। কস্ট মডেলিং করার কাজটি তাদের আরও বহু বছর আগে করার কথা। অন্তত এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তো সেটা করাই যেত। অন্যদিকে সরকারের চোখ কপালে ওঠা উচিত এ জন্য যে, ফেসবুকের হিসাবটা ভয়ঙ্করভাবে শঙ্কিত করার মতো। এই খবর অনুসারে পুরো দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীর মাঝে মাত্র ১৩ লাখ দেশজুড়ে ফেসবুক ব্যবহার করে আর ঢাকা একাই ২ কোটি ২০ লাখ দখল করে আছে। ফেসবুক ব্যবহারের এই চিত্রটি পুরো দেশটার এনালগ থাকার একটি প্রামাণ্য চিত্র। এটি ডিজিটাল বৈষম্যকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এই বৈষম্য দিয়ে আর যাই হোক ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে না। সরকারকে এখনই এই ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাসঙ্গিকভাবে এটি জানানো দরকার যে, বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ যথাযথভাবে পাওয়া যায় না। সরকার ব্যান্ডউইথ বিষয়টিকে স্বচ্ছ করতে পারেনি। একদিকে সরকারের ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের পুরোটা এখনও ব্যবহৃত হয় না। বিকল্প হিসেবে অন্যদিকে ১৯০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। আমাদের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল আসার আগে সেটি প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশের কুয়াকাটায় ১৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে। সেই ব্যান্ডউইথ ঢাকা বা দেশের অন্যত্র আনা যাচ্ছে না। কদিন আগে একটি দৈনিক পত্রিকা খবর দিয়েছে যে, কুয়াকাটা থেকে ১৫০০ জিবিপিএস তো দূরের কথা, মাত্র ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আনা যাবে। অন্যদিকে ১৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসার পরও ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি অব্যাহত রাখার একটি প্রচেষ্টা বিটিআরসিতে কার্যকর রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স নির্বাহী কমিটির সভায় বিটিআরসি এই আমদানির পক্ষেই সুর মিলিয়েছে। নিজের দেশে ১৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ থাকার পরও ভারত থেকে কেন ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে হবে তার ব্যাখ্যা একটাই হতে পারে যে, কারও কারও ব্যবসা অব্যাহত রাখা বা তাতে মুনাফা ঢালাটাই মূল বিষয়। সরকারের পক্ষ থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ফাইবার অপটিক যোগাযোগ স্থাপন করাটাও জরুরী একটি বিষয়। সার্বিকভাবে আমি মনে করিÑ ১. অবিলম্বে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে সকল সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জ ও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হোক এবং বিটিআরসি অপারেটরদের জন্য ন্যূনতম ও উচ্চতর হার নির্ধারণ করে দিন। ২. কুয়াকাটার ব্যান্ডউইথ সারাদেশে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক ও ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি বন্ধ করা হোক। ৩. ইন্টারনেটে নিজের দেশের ও বাংলা ভাষার প্রয়োজনীয় উপাত্ত দেয়া হোক। ৪. অনতিবিলম্বে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হোক। ৫. ইন্টারনেট ব্যবসা থেকে মধ্যস্বত্বভোগীদের সরানো হোক। আমরা কোনভাবেই ভুলে যেতে পারি না যে, এটি ইন্টারনেট সভ্যতা। ঢাকা, ২০ মে, ১৭ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ : www.bijoyekushe.net
×