ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের নীতিমালা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের নীতিমালা

বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা এবং বেতন বৈষম্য নিয়ে যখন দেশের গোটা বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা আন্দোলন করছিল তখন কর্তৃপক্ষ থেকে ঘোষণা এলো যে, প্রতি উপজেলায় একটা করে বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হবে। পরে রাজনৈতিক বিবেচনায় কলেজকেও জাতীয়করণ করা হয়েছে। তবে উপজেলা হেড কোয়ার্টার ছাড়া কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে কিনা জানি না। আসলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই জাতীয়করণ করা উচিত। উপজেলা হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আর উপজেলা হেড কোয়ার্টার ছাড়া বাইরে সীমাহীন! উপজেলা হেড কোয়ার্টারের বাইরে কোন মুরব্বির সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করলে সমালোচিত হতে হবে। আর উপজেলা হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থেকে মানের ক্রমানুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। শিক্ষার প্রতিযোগিতাও বাড়বে। গত ৩০/১১/২০১৬ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় দেখলাম প্রতি উপজেলায় একটা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজকে জাতীয়করণ করা হবে। উচ্চবিদ্যালয় তো দুই রকম বালক উচ্চবিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। আশা তো সবাই করে। আর কোন উপজেলায় বালক ও বালিকা দুটিই জাতীয়করণ করা হয়ে গেছে। এখন উপজেলা হেড কোয়ার্টার ছাড়া যেগুলো হয়ে গেছে যাক। উপজেলা হেড কোয়ার্টার ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের পদক্ষেপ স্থগিত রেখে উপজেলা হেড কোয়ার্টারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নীতি অনুযায়ী মানের ক্রমানুসারে সিনিয়রিটি ভিত্তিক ক্রমান্বয়ে জাতীয়করণ করলে কোন রকম সমালোচনার সুযোগ থাকবে না। মোঃ রুস্তম আলী বিশ্বাস ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ
×