ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানের আগেই বাজার-

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৬ মে ২০১৬

রমজানের আগেই বাজার-

প্রতিবছরের মতো এবারও রমজানের আগেই প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ইফতারে যে সব দ্রব্য বেশি প্রয়োজন হয় সে সব পণ্যের দামই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১ মাস আগে থেকেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। রমজানের আগেই ব্যবসায়ীদের বাজার সিন্ডিকেট প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে এই মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। প্রতিবারের মতো এবারও সরকার থেকে বলা হচ্ছে যে, বাজারে রমজানের জন্য আবশ্যকীয় সব দ্রব্যই পর্যাপ্ত আছে সুতরাং মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার মতো অবস্থা এখনও তৈরি হয়নি। তার পরেও দিনের পর দিন এই মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় সাধারণ ভোক্তা শ্রেণী চিন্তিত। প্রতিবার দেখা যায়, সরকারও ন্যায্যমূল্যে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়। যাদের জন্য এই ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাদের কেউ কেউ। পবিত্র রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস, সংযমের মাস, ত্যাগ তিতিক্ষার মাস। আর এই মাসকে ঘিরেই চলতে থাকে একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারসাজি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবারের মতো এবারও আশ্বস্ত করা হয়েছে রমজানের অতিআবশ্যকীয় দ্রব্যসামগ্রীর কোন ঘাটতি নেই। বরং প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই মজুদ আছে। তাই দাম বাড়ানোর মতো কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। জনসাধারণের সুবিধার্থে প্রতিবারের মতো এবারও সরকার ন্যায্যমূল্যে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করবে। তবে দেখার বিষয় যে, এসব পণ্য চাহিদামতো সাধারণ মানুষের হাতের কাছে পৌঁছাবে কিনা। সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে ন্যায্যমূল্য সরবরাহকৃত পণ্য যথার্থ স্থানে পৌঁছতে পারে। সীমিত এবং সাধারণ আয়ের ভোক্তা শ্রেণীর সরকার প্রদত্ত এই সুবিধা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারেও মনিটরিং করা একান্ত জরুরী। এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি যাতে থামানো যায়, সেদিকেও বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের এই অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের অপকৌশল বন্ধ করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী। এই রমজানে মানুষ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে অস্বস্তিতে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার গণমানুষের বাজার ব্যবস্থার এই দুর্ভোগ থেকে সবাইকে মুক্ত করতে পারবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
×