ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

সড়ক নয়, এ যেন চাষের ফসলি জমি

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২৯ জুলাই ২০২৫

সড়ক নয়, এ যেন চাষের ফসলি জমি

ছবি: জনকণ্ঠ

দেখতে চাষের জন্য প্রস্তুত করা ফসলি জমির মত হলেও বাস্তবে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ  সড়ক। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এমন রূপ ধারণ করছে রাস্তাটি। 

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আবদুল্লা পাড়া সড়কে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। বছরের অন্যান্য সময় পায়ে জুতা পরে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুম এলেই হাঁটুসমান কাদা পেরিয়ে, জুতা হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হয় স্থানীয়দের। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষকে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে সড়কটি একপ্রকার কাদার স্তূপে পরিণত হয়েছে। পিচ্ছিল রাস্তায় হেঁটে চলা দুষ্কর। অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন, কেউ কেউ পাশের খালে গড়াচ্ছেন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যেখানে পড়ে শিশুদের বই-খাতা, পোশাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করেন। অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যেতে এই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল। এমন অবস্থায় রোগীদেরও দোলনায় করে নিয়ে যেতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী সড়কটি মাটি দিয়ে সংস্কার ও কিছু অংশে ফ্ল্যাট সলিং করেন। ২০১৭ সালে সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিম স্কেভেটর দিয়ে রাস্তাটি প্রশস্ত করলেও ইট বা পাকা নির্মাণ না হওয়ায় বর্ষায় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তা প্রায় ১ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। আমরা কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে কয়েক দফা মাটি দিয়েছি। কিন্তু ইট বসানো না হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর কেউ ফিরে তাকান না। ফলে বছরের পর বছর ধরে তাঁরা এমন দুর্ভোগে জীবন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ জানান, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

অবিলম্বে সড়কটি ইট-সলিং বা কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে টেকসই সংস্কার করা না হলে, বর্ষাকাল এলেই এই জনপদের মানুষকে দুর্ভোগের চরম সীমানায় যেতে হবে। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

সাব্বির

×