
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আট ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ছোট কুড়াল, একটি চাইনিজ কুড়াল, দুইটি রামদা ও একটি চাপাতি। আজ তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রেস ব্রিফিংয়ে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার রাত ৮টার দিকে ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের পাকিস্তান বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের নাম-
মানিকগঞ্জের সিংগাইরের গোবিন্দল মোল্লা পাড়া এলাকার বাসিন্দা মিলন (৩৪), একই উপজেলার বেরুন্ডী পূর্বপাড়ার মোঃ ইমন হোসেন (২৫), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার মোঃ মেহেদী হাসান (২৭), মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইসলামনগরের মোঃ চঞ্চল মিয়া (২৬), মানিকগঞ্জের বাংগরা এলাকার মোঃ জাকির হোসেন (২৬), মানিকগঞ্জের সিংগাইরের কাংশা এলাকার সেলিম মিয়া (২৪), মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইসলামনগরের মান্নান বেপারী (২২) ও সাইদুর রহমান তারেক (৩৫)।
পলাতক আসামিরা-
ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকার জুয়েল (২৮), সিপার (৪০), সেলিম (৪৩), কুরুঙ্গী এলাকার সোহাগ (৪০), সুয়াপুর এলাকার মোঃ শাহীন (৩১), সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর মধ্যপাড়া এলাকার আলামিনসহ (২৯) অজ্ঞাত ৮-১০ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের পাকিস্তান বাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজন ডাকাতকে স্থানীয়রা আটক করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, আটজন ডাকাত ও তাদের সহযোগীরা সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। স্থানীয়রা তাদের আটক করে এবং কিছুজন পালিয়ে যায়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, “গতকাল থানার একজন উপপরিদর্শক মাদক অভিযান করার সময় জানতে পারেন স্থানীয়রা কয়েকজন ডাকাতকে আটক করেছে। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, স্থানীয় জনতা তাদের মারধরও করেছে। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে। তারা আরও ছয়জনের নাম প্রকাশসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনের কথা জানিয়েছে। তারা ধামরাইয়ের সীমান্তবর্তী সিংগাইরের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে মামলা করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।”
শেখ ফরিদ