সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ নেতা ও বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলন খাঁনের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টায় উপজেলার বোগলাবাজার এলাকায় মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পায়েল আহমদ বলেন, চেয়ারম্যান মিলন খাঁন জোরপূর্বক বোগলাবাজারের মেইন রোডের আলমখালি মৌজার ১৫ জে.এল. নং ১৩৮/৪৩৮, ৫২৫ নং দাগের ১৮ শতক জায়গা দখল করে নিয়েছেন। প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা, হামলার হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তার দাবি, ২০০৯ সাল থেকে ওই জমিতে গরুর শেড তৈরি করে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু এনে সেখানে রেখে বৈধতা দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া জানান, সৌদি আরবপ্রবাসী আব্দুর রশিদ ২০০৮ সালে মিলন খাঁনের পিতা শহীদ খাঁনের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেন। কিন্তু ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায়, পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মিলন খাঁন রশিদ ও তার পরিবারের উপর ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ওই সময় রাতে দলবল নিয়ে জমির বাউন্ডারি ভেঙে জমি দখল করে নেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বক্তারা অভিযোগ করেন, জমির মালিকানা দাবি করায় চেয়ারম্যান মিলন খাঁন বিভিন্নভাবে ক্ষতি করছেন আব্দুর রশিদের পরিবারের। ২০১২ সালে আদালতে মামলা করেও কোনো ফল পাননি তারা। উল্টো মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশ ও নির্যাতনের হুমকি পান।
তারা বলেন, পূর্ববর্তী সরকার আমলেও সামাজিকভাবে সালিশ করে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু চেয়ারম্যানের প্রভাবের কারণে কেউ এগিয়ে আসেননি। কথা বললেই হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বক্তারা আরও দাবি করেন, বোগলাবাজারে মিলন খাঁনের নেতৃত্বে জমি দখলের একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিলন খাঁন বলেন, “রশিদ মিয়ার ক্রয়কৃত জায়গা দাগ অনুযায়ী বুঝিয়ে দিতে আমার কোনো আপত্তি নেই। ১০-১৫ দিন আগেও আমরা দাগ অনুযায়ী জমি বুঝে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি।”
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, রমিজ মিয়া, ফরিদ মিয়া, পায়েল আহমদ। উপস্থিত ছিলেন ফখর উদ্দিন, শহিদ, ফিরুজ, রফিক, নাজমুল, মোশাররফ, ইব্রাহিম, সুলতান আহমদ, মাস্টার রফিক, ডা. রনি, হেলাল খাঁন, হাসান আহমেদ প্রমুখ।
মিমিয়া
