
ছবিঃ জনকণ্ঠ
দক্ষিণ জনপদের বৃহৎ ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের মোকাম কলাপাড়ার মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুরে এখন অন্তত আট হাজার জেলে বেকার সময় কাটাচ্ছেন। খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই পাড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় পাঁচ শতাধিক ট্রলার ঘাটে ভিড়ানো রয়েছে।
এসব ট্রলারের হাজার হাজার জেলে অলস সময় পার করছেন। কেউ বা হতাশ মনে সময় পার করছেন। আর নিত্যদিন একেকটা ট্রলারের ১৫-২২ জন জেলের খাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের খরচের জন্য গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এর যোগান দিতে গিয়ে ট্রলার ও আড়ত মালিকরা দিশাহারা অবস্থায় পড়েছেন। গত দুই দিন ধরে ঘাটে ভেড়ানো আছে শত শত ট্রলার।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর প্রচন্ড উত্তাল থাকায় এসব ট্রলার মাছ শিকার বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। আরও দুই দিন ঘাটে থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে অধিকাংশ ট্রলার মাঝি ও আড়ত মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ জনকণ্ঠ কে নিশ্চিত করেন।
এফবি মা জননী ট্রলারের জেলে হোসেন আলী জানান, তিনদিন ঘাটে বসে আছি। ২২ জন মানুষের দিনে কমপক্ষে ৪ হাজার টাকার খরচ হচ্ছে। ২৯ জুন পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকবে বলে জানান এই জেলে। হোসেন আলীর ভাষ্য, ‘ সিজনের শুরুতেই তাদের ভাগ্য খারাপ। দাদন নেওয়ার পর এখন আবার ঘাটে বসে বসে দেনার ভাগ বাড়ছে। মানুষটির চোখে মুখে হতাশার ছাপ লেগে আছে।
মহিপুর আড়ত মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা জানান, সাগর খুব খারাপ। তিনদিন ধরে পাঁচ শয়ের বেশি ট্রলার ঘাটে। বাজার সদায়ের যোগান দিতে মালিক মহাজন আড়ত মালিকদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আরো দুই তিন দিন আবহাওয়া খারাপ থাকার আশঙ্কা করছেন তিনি। লোকসানের ধাক্কায় সবাই চিন্তিত হয়ে আছেন।
জেলেদের টাকাপয়সার যোগান দিতে সবাই দিশাহারা অবস্থায় পৌঁছেছেন। বর্তমানে সাগর খুব খারাপ। উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে পুবের দমকা বাতাস বইছে কখনও কখনও। এটি নাকি খুব ভালো লক্ষ্মণ না বলে এ পেশা সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য। মোট কথা মহিপুর আলীপুর মৎস্য বন্দরে এখন হাজার হাজার জেলে অলস সময় পার করছেন। মালিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
আলীম