
ছবিঃ সংগৃহীত
গ্লোব জনকন্ঠের ব্যবস্থাপক মোঃ সালাহ উদ্দিন এর ভাগিনা ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ তামিম(২১) বন্ধুদের সাথে পদ্মায় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু করেছেন।
বুধবার দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার ধলার মোড়ে এঘটনা এঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে তামিমের মরদেহ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মেদী আশুলাই পশ্চিম পাড়া তার নিজ বাড়িয়ে নিয়ে আসলে ওই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। এসময় তার পিতা—মাতাসহ পরিবারের লোকজন এবং আত্নীয়স্বজনের কান্নার শব্দে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়।
তামিমের মরদেহ এক ঝলক দেখার জন্য কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ নারী পুরুষ ভির জমায়। এতে এলাকায় একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মায়ের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
তামিমের পিতা শওকত হোসেন জানান, তার একটি মেয়ে ও একটি মাত্র ছেলে ছিল। মেয়েটি বড়, বিয়ে দেয়া হয়েছে উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকায় এবং ছেলেটি ছোট । তামিম ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের অত্যান্ত মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। এবার ঈদের পরে তার ছেলে ফরিদপুর কলেজে গিয়েছে।
গতকাল তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিলে হটাৎ করে পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় তারা ছয় বন্ধু ফুটবল খেলা শেষে দুপুরে পদ্মায় গোসল করতে যায়। এমন সময় তার এক বন্ধু আব্দুল্লাহ আল মামুন পানিতে পড়ে গেলে তামিম তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা দুইজনেই পানিতে ডুবে মৃত্যুবরন করেন।
তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন তখন তার হাত-পা যে নিথর হয়ে আসছিল। তিনি যাতে মাটিতে লুটিয়ে না পড়ে যায় এজন্য প্রতিবেশীরা তার শরীর ধরে রেখেছিল। তার কথা শোনে চারিদিক থেকে কান্নার রুল ভেষে আসছিল।
গ্রামবাসিরা জানায় তামি একজন শান্ত ও পরহেজগারী এবং ভদ্র ছেলে ছিল। তিনি যখন বাড়িতে আসতে সব সময় মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতেন এবং এলাকায় সবাইকে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করার জন্য বলতেন। এলাকার সবার প্রিয়পাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিল।
বেলা ১১টায় তার নিজ বাড়ির পাশেই মসজিদের সামনে তামিমের বাবার ঈমামতিতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে তার পারিবারিক কবস্থানে দাফন করা হয়। তার নামাজে জানাজায় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল হতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ, শিক্ষক, সহপাটিসহ সহাস্্রাধীক মুসুল্লী অংশ গ্রহন করেন। উপস্থিত মুসুল্লিরা তার বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনাসহ তার শোকসংতপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
আলীম